আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের রক্তক্ষয়ী হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সোকোতো প্রদেশে বন্দুকধারীদের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। সোকোতো প্রদেশের গভর্নরের কার্যালয় তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বলে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোকোতো প্রদেশের গভর্নর আমিনু ওয়াজিরি তামবুয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন, গেল রবিবার স্থানীয় গরন্য এলাকার একটি সাপ্তাহিক বাজারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। পরদিন সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্দুকধারীদের এই আক্রমণ অব্যাহত ছিল। এতেই প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইলিয়াসু আব্বা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার পর গরন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নারী-শিশুসহ মোট ৬০টি মরদেহ ছিল। এছাড়া হামলার সময় প্রাণে বাঁচতে পালানোর চেষ্টাকালে অনেকে আহতও হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হামলার সময় ওই সাপ্তাহিক বাজারের দোকানগুলোতে বহু সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিত ছিলেন। তার কথায়, বাজারটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার পর বন্দুকধারীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। মানুষকে হত্যা করতে তারা সবদিকেই গুলি চালাচ্ছিল।
ইলিয়াসু আব্বা জানান, হামলার সময় পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলেও বন্দুকধারী সন্ত্রাসীদের শক্তিই ছিল বেশি। যদিও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি নাইজেরীয় পুলিশের মুখপাত্র।
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে হত্যা, ডাকাতি, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ বন্ধে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে আগে থেকেই অভিযোগ রয়েছে।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গেল এক যুগ যাবত নাইজেরিয়া ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বিএসডি/এসএসএ