নায়করাজ রাজ্জাক। যাকে একনামে ভালোবাসে বাংলাদেশের মানুষ। এই উজ্জ্বল নক্ষত্র চলে যাওয়ার চার বছর পূর্ণ হলো আজ।
২০১৭ সালের এইদিনে নায়করাজ রাজ্জাক দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে বড় এক শূন্যতা তৈরি করে নিয়েছেন চিরবিদায়। বাংলা চলচ্চিত্রে অঙ্গণে মেধা, মনন ও শ্রমে তিনি ছিলেন শীর্ষস্থানীয়। সাড়ে ছয় দশক ধরে নন্দিত এই অভিনেতা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে নায়করাজ উপাধি লাভ করেন।
গুণী এই অভিনেতা ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ‘বিদ্রোহী’ নাটকে গ্রামীন কিশোরের চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় যাত্রা শুরু।
পরে সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমাতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। এরপর এক এক করে ‘কার বউ’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরি স্টিশন’-এর মতো সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেন।
কালজয়ী নির্মাতা জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ সিনেমা দিয়ে প্রধান চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির হন রাজ্জাক। তার সঙ্গে প্রথমবার জুটি বেঁধেছিলেন সুচন্দা।
অভিনয়ের বাইরে চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাজ্জাক। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘অনন্ত প্রেম’।
এছাড়া প্রযোজক হিসেবে তার যাত্রা শুরু ‘রংবাজ’ সিনেমা দিয়ে। নায়ক হিসেবে রাজ্জাক অভিনীত সবশেষ সিনেমা শফিকুর রহমানের ‘মালামতি’। এতে তার বিপরীতে দেখা যায় নূতনকে।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। বাংলা সিনেমার পাশাপাশি উর্দু সিনেমাতেও দাপুটের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি।
চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এছাড়াও অভিনয়ের জন্য ভক্তদের কাছে থেকে পেয়েছেন ‘নায়করাজ’ উপাধি।
নায়করাজ রাজ্জাকের অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘স্লোগান’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘কে তুমি’, ‘স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা’, ‘পলাতক’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অগ্নিশিখা’, ‘যাদুর বাঁশী’, ‘কাপুরুষ’ অন্যতম।
বিএসডি/এমএম