নিউজিল্যান্ডের ট্রাভেল কোম্পানি ওয়াকারি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে (ডব্লিউ এম এল) দেড় মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে দেশটির একটি জেলা আদালত। ২০১৯ সালে হোয়াইট আইল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির ঘটনায় ২২জন পর্যটক মারা যান। এর রায় হিসেবেই এমন সিদ্ধান্ত দেয় দেশটির আদালত। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারকের এমন রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা। আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণে নিহত হায়ডেন মার্শাল এর মা এভি উড বলেন, বিচারকের এই রায় খুবই আবেগপূর্ণ। দীর্ঘদিন পর অবশেষে আমরা একটি রায় পেয়েছি।অগ্ন্যুৎপাতের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে আগ্নেয়গিরিতে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল বলে বলে জানানো হয় বিবিসির প্রতিবেদনে।
ট্রাভেল কোম্পানির পক্ষের আইনজীবী জানান, ওই দ্বীপে ভ্রমণের জন্য ডব্লিউ এম এল এর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হলেও সেসময় হোয়াইট আইল্যান্ডে পর্যটকরা যাবে কি যাবে না এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। তবে ভ্রমণ ব্যবস্থাপনায় সরাসরি কোনো দায়িত্বে ছিলনা ওয়াকারি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
এ ঘটনাকে ‘আশ্চর্যজনক ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিচারক ইভেনজেলস থমাস। অভিযুক্ত কোম্পানিকে নিউজিল্যান্ড মুদ্রার মানে ১.৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানিটির পক্ষ থেকে সক্রিয় অগ্নেয়গিরির ব্যাপারে পর্যটকদের জানানো উচিৎ ছিল। কারণ ঐ দ্বীপে আগ্নেয়গিরির আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কোম্পানিটি তাদের কাজে ব্যর্থ হয়েছে।
২০১১ সাল থেকেই হোয়াইট আইসল্যান্ডে বিভিন্ন সময় আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ হয়ে আসছে। ২০১৯ সালে আগ্নেয়গিরি দেখতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডে নিখোঁজ হন বহু পর্যটক। ২২ জনের মৃত্যু ও ২৫ জন আহত হওয়ার খবর জানায় দেশটির পুলিশ। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ওই দ্বীপে ভ্রমণে যায়নি কোনো পর্যটক।
বিএসডি/ এফ এ