ক্রীড়া প্রতিবেদক:
জেদের মাটিতে উইকেট ও কন্ডিশনের পুরো সুবিধা নিতে টেস্ট স্কোয়াডে পাঁচ পেসার রেখেছে নিউজিল্যান্ড। অর্থাৎ সফরকারী বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হবে কিউই বোলারদের গতি ও সুইংয়ের সম্মিলিত আক্রমণ। এই চ্যালেঞ্জে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দল কতটা সফল হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্স অবশ্য মনে করছেন, এবারের সফরে ব্যাটিং উপভোগ করবেন মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসরা।
১১ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে আসন্ন দুই টেস্টের সিরিজকে সামনে রেখে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। লিংকন ইউনিভার্সিটি মাঠে চলছে ব্যাটে-বলে নিজেদেরকে ঝালিয়ে নেওয়ার তৎপরতা। তবে নিউজিল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এখনও কোনো জয় নেই টাইগারদের।
ঘরের মাঠে সবশেষ টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশ। তুলনামূলক কম পেসবান্ধব উইকেটেও ব্যাটারদের ভুগিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি-হাসান আলিরা। সেখানে নিউজিল্যান্ডের উইকেট মানে পেসারদের জন্য স্বর্গ। সেখানে কেমন পরীক্ষা পড়তে হবে বাংলাদেশকে তার আভাস মিলেছে ইতোমধ্যে। টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৩ সদস্যের দলে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার রাখেনি কিউইরা। পাঁচ পেসার ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কাইল জেমিসন, নেইল ওয়াগনার, ম্যাট হেনরির পাশাপাশি আছেন পেস অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল।
প্রিন্সের মতে, নিউজিল্যান্ডের পিচে বাউন্স অনিয়মিত না হওয়ায় কিছুটা সিম মুভমেন্ট থাকলেও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করতে পারবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা, ‘আমাকে বলতেই হবে, আমাদের ব্যাটসম্যানদের খুব ভালো মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিউজিল্যান্ডে ব্যাটিং উপভোগ করবে। এই (লিংকন) ইউনিভার্সিটি মাঠে অনুশীলন পিচগুলো খুব ভালো। বাউন্স খুবই সমান। আমাদের ছেলেরা এই স্বস্তি পাচ্ছে যে নিউজিল্যান্ডের বাউন্সে ভরসা রাখা যায়। হ্যাঁ, কিছুটা সিম মুভমেন্ট থাকবে। তবে সেটা প্রত্যাশিতই।’
লম্বা সময় ঘরবন্দি থাকার ধকল পেরিয়ে খোলা পরিবেশে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার স্বস্তি মিলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। প্রিন্স জানিয়েছেন, ব্যাটার-বোলার সবার অনুশীলন দারুণ হচ্ছে, ‘এখনও পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে আমাদের দুই দিনের অনুশীলন হয়েছে। বাইরে আসতে পারাটা দারুণ। বোলাররা ধীরেসুস্থে এগিয়ে চলেছে। ব্যাটসম্যানরা জোরেশোরেই চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কয়েকটি ভালো সেশন হয়েছে আমাদের। নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন নেট বোলারকে আমরা পেয়েছি। আমরা অনেকেই স্টিক (আর্ম থ্রোয়ার) নিয়ে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ করছি।’
প্রিন্স যোগ করেছেন, যেভাবে অনুশীলন চলছে, তাতে মূল লড়াইয়ের আগে খেলোয়াড়রা প্রস্তুতির শীর্ষে থাকবে, ‘এখনও পর্যন্ত সবকিছু ভালো চলছে। ছেলেদের অনুশীলনে ভালো মনে হচ্ছে। কেবলই শুরু হলো, প্রথম টেস্টের আগে আরও ৭-৮ দিন সময় আছে। আস্তে আস্তে আমরা উন্নতি করতে চাইব এবং প্রথম টেস্ট যখন শুরু হবে, সময়মতো আমরা আশা করি (প্রস্তুতির) চূড়ায় থাকব।’
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজ মাঠে গড়াবে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি। তার আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালের দুই নম্বর মাঠে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। সেটি অনুষ্ঠিত হবে ২৮-২৯ ডিসেম্বর।
বিএসডি/এসএফ