নিজস্ব প্রতিবেদক,
নৌকা ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরা হলো না ডা. অমিত কুমার রায় এবং ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ মিসুর। নৌকা ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে বালুবাহী ট্রলারের সাথে সংঘর্ষে নৌভ্রমণের যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ডা. অমিত কুমার রায়ের মরদেহ ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা।
বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার ধামলই এলাকা হতে স্থানীয় জেলেরা বের জালের মাধ্যমে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এর আগে গতকাল রাতে তানভীর আহমেদ মিশু নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত ডা. অমিত কুমার রায়(৩৪) গাজীপুর মহানগরীর বিলাসপুর এলাকার নন্দলালের ছেলে। এবং অপর নিহত তানভীর আহমেদ মিসু(২৫) ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ঝালপাজা ডাক্তার পাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার(১৭ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সীমান্তবর্তী খিরু নদীর ধামলই-উড়াহাটি পয়েন্টে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে বনভোজন শেষে যাত্রীবাহী ট্রলারটি বাড়ি ফেরার পথে বালু ভর্তি একটি ট্রলারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় নদীর দুই তীরের মানুষ বিভিন্ন ভাবে অনেককে উদ্ধার করে। আবার অনেকে সাঁতার কেটে তীরে উঠেন।
জানা গেছে, ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক ও স্টাফসহ ২০-২৫ জন নৌকাভ্রমণে বের হন। এক পর্যায়ে নৌকা নিয়ে তারা পাশের শ্রীপুর উপজেলার ত্রিমোহনী চলে যান। পরে সেখান থেকে ক্ষিরুনদী দিয়ে ফেরার পথে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই ও ভালুকা উপজেলার উড়াহাটি পয়েন্টে পৌঁছালে রাত ৮ টার দিকে বিপরীতগামী একটি বালুভর্তি ট্রলারের সঙ্গে তাদের নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল মামুন বলেন, রাত ৯ টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। রাত ১২ টার দিকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন।
বিএসডি/আইপি