নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইস্যুতে বেফাঁস মন্তব্য করা, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিভিন্ন মহলে পাচারের অভিযোগে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো দলের সিনিয়র নেতারা।
গুঞ্জন রয়েছে, দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়া এ তিন নেতা বিভিন্ন সময়ে বিএনপিবিরোধী শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছেন, নানা তথ্য পাচার করেছেন। এসব দুষ্কর্ম জানাজানি হয়ে যাওয়ায় দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা। অপকর্ম ফাঁস হওয়ায় তারাও দলে মুখ দেখাতে পারছেন না।
বিএনপির ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যু ও বিএনপি পুনর্গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ভূমিকা পালন করেননি মির্জা আব্বাস ও খসরুরা। উল্টো খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় নিজেদের বিভ্রান্তিকর মতামত চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টার কারণে তারা দলের ভেতর চাপে পড়েছেন।
এ তিন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা ও বিএনপিবিরোধী গোষ্ঠীর কাছে তথ্য পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। আর এসব অভিযোগ তারেক রহমানের কান পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় আপাতত তাদের দলীয় কার্যক্রম নিয়ে মাথা না ঘামাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়াও রহস্যময় কারণে এ তিন নেতার বিষয়ে কোনো কথা শুনতেও রাজি হচ্ছেন না। এর ফলে বিএনপির রাজনীতিতে গুঞ্জন উঠেছে, মূলত বেফাঁস মন্তব্য করা ও তথ্য পাচারের অভিযোগেই দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন আব্বাস, খসরু ও মোশাররফরা।
এদিকে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কিনা জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যক্তিগত কারণে দলের রাজনীতিতে সময় দিতে পারছি না।
এ বিষয়ে মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন এবং এ বিষয়ে কথা বলবেন না বলে ফোন রেখে দেন তারা।
বিএসডি/এমএম