নিজস্ব প্রতিবেদক
আমদানি করতে যেটুকু দাম বাড়বে, স্থানীয় বাজারে আনুপাতিক হারে যেন সেটুকুই বাড়ে তা নজরে রাখা হবে। সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে কঠোর মনিটরিং করবেন। কিন্তু এ সুযোগ নিয়ে যারা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেবে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য মোবাইল কোর্ট চালানো হবে।সম্প্রতি ভোজ্যতেল, চিনি ও চালের মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম, টিসিবির চেয়ারম্যান আরিফুল হাসান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, প্রান্তিক মানুষের চাহিদা মেটাতে সহনীয় মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি আড়াইগুণ বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যাতে দেশের বাজারে আমদানি পণ্য বেচাকেনা হয়, সেজন্য মনিটরিং জোরদার করা হবে। কেউ অন্যায়ভাবে বেশি দাম নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাণিজ্য সচিব আরো বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু যেসব জিনিস আমদানি নির্ভর, সেসব জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি দাম বেড়েছে বলে তারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বিএসডি/এমএম