নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) লিমিটেড-এর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত রয়েছে। তবে এই সময়ের আগেই প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে সক্ষম হবে।
চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি জানায়, প্রকল্পের মূল কাজ নদীর তলদেশে দুটি টিউব স্থাপনের কাজ গত ৭ অক্টোবর সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশ কাজের মধ্যে রয়েছে টিউবের ভেতরে সড়ক নির্মান, সংযোগ সড়ক নির্মান এবং টানেলের ভিতরের অন্যান্য প্রযুক্তিগত কাজ। এসব কাজ শেষ হতে ৭ থেকে ৮ মাসের বেশি সময় লাগবে না বলে প্রকৌশলীরা আশা প্রকাশ করেছেন। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বঙ্গবন্ধু টানেলে যানবাহন চলাচল করতে সক্ষম হবে।
টানেল প্রকল্পের সমাপ্তি হলে চট্টগ্রামে ট্রাফিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের উন্নতি, বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ শক্তিশালীকরণ এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করে চায়না দূতাবাস।
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ চৌধূরী জানান, কোন ব্যয় না বাড়িয়েই নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে একটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, এখন টানেলের ভিতর সড়ক নির্মানের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। নদীর তলদেশে স্থাপন সম্পন্ন হওয়া দুটি দুই টিউবে মোট ৪ লেনের সড়ক নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণও প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এছাড়া আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসেতু নির্মিত হচ্ছে। দুটি টিউবের একটিতে চলবে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারাগামী যানবাহন। আরেকটি টিউবে আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রাম শহরমুখী যানবাহন চলবে। একটি টিউব থেকে অপর টিউবের পাশাপাশি দূরত্বপ্রায় ১২ মিটার।
বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্য বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে চার হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে চীন সরকার।
বিএসডি/আইপি