স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার মোবাইল আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ও আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। এমন ঘটনা দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। গত বছর রাজাবাড়ী কলেজের প্রিন্সিপাল সেলিম রেজাকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এমপি ওমর ফারুকের মালিকানাধীন নগরীর থিম ওমর প্লাজার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সোমবার বিকেলে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘরোয়া সভা ডাকেন এমপি ফারুক। সভায় নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন- চিত্রনায়িকা মাহি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। নৌকাকে জেতাতে তাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। এরমধ্যে গোলাম রাব্বানী প্রার্থিতা ফিরে পেলে আরও কঠিন হবে। তাই নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হবে। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য শোনার পর ফারুক চৌধুরীর মেজাজ বিগড়ে যায়।
সভার শেষদিকে ফারুক চৌধুরী বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এ সময় গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হকের ফোনে কল বেজে উঠে। কল ধরে নাজমুল হক বলেন, মামা আমি এমপি সাহেবের সঙ্গে একটা মিটিংয়ে আছি। সভা শেষে কথা বলব। এর পরে নাজমুল কল কেটে দেন। এটা দেখেই ভীষণভাবে রেগে ওঠেন ফারুক চৌধুরী।
এ সময় এমপি রেগে গিয়ে এক নেতাকে বলেন নাজমুলের মোবাইল ফোনটা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলতে। ওই নেতা ফোনটা নিতে ইতস্তত বোধ করলে এমপি নিজেই ফোনটা নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা ফোনটার টুকরোগুলো পরে কুড়িয়ে টেবিলের ওপরে জমা করে নাজমুলের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মোবাইলে নাজমুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর পরে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি অন্য ব্যক্তিদের ধরিয়ে দেন। তবুও নিজে কথা বলেনি।
এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিএসডি / এলএম