জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, কত মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, কত মানুষের হাত কাটা, চোখ তুলে নেওয়া কিংবা ঘর বাড়ি দখল হয়েছিল তার হিসাব নেই। ওই সময় দেশে কেমন সহিংসতা হয়েছিল তা ভুলে যাইনি।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর সম্পর্কে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা হোক এটা আমারা চাই না। চেয়ারম্যান পদে আমারা প্রতীক দিচ্ছি। সেখানে কিন্তু মেম্বারদের ভোটও হয়, আমরা প্রতীক দিই না। এই অবস্থায় মেম্বারদের পদেও কিন্তু গোলমাল হয়। প্রতীক দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে শুধু গোলমাল হয় সেটা কিন্তু নয়। মেম্বারদের প্রতীক ছাড়া নির্বাচনেও কিন্তু গোলমাল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলে এমন হয়, একজনকে নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে আরও অনেকের আকাঙ্ক্ষা থেকে যাচ্ছে। তবে ইলেকশন কিন্তু সবাই করছে। আমারা যেমন নির্বাচন আওয়ামী লীগের নামে করছি, বিএনপি কিন্তু নাম ছাড়া করছে, অন্যান্য দলও করছে। হানাহানি মারামারি কোথায় কোথায় হচ্ছে, কাদের মধ্যে হচ্ছে, সেটা যদি আমাদের দলের মধ্যে হয় তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দলের নেতৃত্ব ইউনিয়ন পর্যায়ে হোক, ওয়ার্ড পর্যায়ে হোক বা উপজেলা পর্যায়েই হোক যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কাজ করবে তদের বিরুদ্ধে আমারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নির্বাচন নিয়ে যেখানে যেখানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গ্লাসগো, লন্ডন ও প্যারিসে সরকারি সফরকালে কপ২৬ সম্মেলন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২১, ইউনেস্কো সদর দফতরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান, ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সম্মেলন, প্যারিস শান্তি ফোরাম, ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রায় দুই সপ্তাহের সফর শেষে ১৪ নভেম্বর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।