নিজস্ব প্রতিবেদক:
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউপিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২৮১। এই ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তৃতীয় স্থানে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী। চতুর্থ হয়েছেন আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬৭ ভোট। এই ইউনিয়নে ১৭ হাজার ২৬৩ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তারমধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ১২৮১ ভোট।
তবে এই অবস্থা শুধু নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউপিতে নয়। তৃতীয় ধাপের ভোটে ১৮১টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই ছিলেন না। এমনকি তারা দ্বিতীয় অবস্থানেও ছিলেন না। রবিবার তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯৭১টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। তার মধ্যে ৫২৫টিতে নৌকার প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর হেরেছেন ৪৪৬টিতে। এরমধ্যে ১৮১টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই ছিলেন না। তারা দ্বিতীয়ও হতে পারেননি। এর আগে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ৮৩৩টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৩১টি ইউপিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন না ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা।
সুনামগঞ্জের ১৭টি ইউপিতে ভোট হয়। এরমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছেন মাত্র দুটিতে। বাকি ১৫টিতে হেরেছে আওয়ামী লীগ। তবে ১১টিতে দ্বিতীয় স্থানেও নেই ক্ষমতাসীন দল। চারজন জামানত হারিয়েছেন। তবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নয়টির মধ্যে একটিতেও জয় পায়নি আওয়ামী লীগ।
বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে নৌকার প্রার্থীরা তুলনামূলক খারাপ ফল করেছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও ঢাকা জেলায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলায় নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসনের ১৫টিতে ভোট হয়। একটিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। ফরিদপুরে দ্বিতীয় হয়েছে একটিতে। ১৩টিতে তৃতীয়। এরমধ্যে পাঁচটিতে জামানত হারিয়েছেন।
বিএসডি /আইপি