আট ম্যাচ পর গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। লুইস দিয়াসের দুর্দান্ত এক গোলে হতভম্ব হলেও নেইমাররা অবশ্য শেষ পর্যন্ত কলম্বিয়াকে হারাতে পেরেছে ২-১ গোলে। তবে এ ম্যাচে ৭৮ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোর করা সমতাসূচক গোলটি ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়েছে।
গোল নিয়ে এ বিতর্কের কেন্দ্রে থাকছেন ম্যাচের রেফারি নেসতর পিতানা। নেইমারের একটি পাস হঠাৎ করেই রেফারির হাতে লেগে দিক পরিবর্তিত হয়, সেখান থেকে বল পেয়ে লোদির দিকে বল বাড়ান মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা। লোদির ক্রস থেকেই হেড করে গোলটি করেন ফিরমিনো। তবে কলম্বিয়ার গোলকিপার ওসপিনা নিরীহ হেডটি ধরে ফেলতে পারতেন, কিন্তু পরিস্থিতির কারণেই কি না, সেটি তিনি পারেননি।
পরিস্থিতিটা কলম্বিয়ান ফুটবলারদের জন্য কিছু বিভ্রান্তিকরই ছিল। রেফারির হাতে বল লাগার সঙ্গে সঙ্গেই কলম্বিয়ান খেলোয়াড়েরা নিজেদের কয়েক মুহূর্তের জন্য থামিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা মনে করেছিলেন রেফারি বুঝি খেলা থামিয়ে দেবেন। কিন্তু রেফারি তা করেননি, উল্টো পরিস্থিতির সুযোগটা খুব ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ব্রাজিল।
এই গোল নিয়ে আরও বড় খেসারত দিয়েছে কলম্বিয়া। ফিরমিনোর গোলটি নিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করতে গিয়ে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট করে ফেলেন কলম্বিয়ান খেলোয়াড়েরা। হলুদ কার্ড দেখানো হয় ওসপিনাকে। ফলে ৯০ মিনিটের পর আরও ১০ মিনিট যোগ করা হয়। সেই যোগ করা সময়ের দশম মিনিটেই নেইমারের কর্নার থেকে কাসেমিরোর হেড কপাল পোড়ায় কলম্বিয়াকে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা দলটিই হেরে যায় ২-১ গোলে।
কলম্বিয়া অবশ্য ফিরমিনোর গোলটিকে ‘অবিচার’ই বলছে। কোচ রেনালদো রুয়েদা ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘ব্রাজিলের দুটি গোল এসেছে পুরোপুরি ভিন্ন অবস্থায়। প্রথম গোলটিতে রেফারির গায়ে বল লাগায় আমার দলের খেলোয়াড়েরা পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল।’