আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নেপালে বিধ্বস্ত তারা এয়ারলাইন্সের বিমানটির ২২ আরোহীর সবার লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল।
এদের মধ্যে ১৯ যাত্রী ও তিনজন ক্রু ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সর্বশেষ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নেপাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি- সিএএএনের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ জানান। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় একটি খাড়া পাহাড়ি ঢালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপ থেকে সোমবার ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে সর্বশেষ ব্যক্তির মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বিমানটির ২২ আরোহীর মধ্যে চারজন ভারতের, দুজন জার্মানির এবং ১৬ জন নেপালের নাগরিক ছিল। তাদের বহনকারী ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা-ডিএইচসি-৬-৩০০ টুইন অটার বিমানটি রোববার নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে জমসম বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পরই বিধ্বস্ত হয়।
পোখারা বিমানবন্দর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোখারা থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ও তীর্থস্থান জমসমে যাচ্ছিলেন আরোহীরা। মাত্র ২০ মিনিটেই তাদের জমসমে পৌঁছানোর কথা ছিল।
কিন্তু উড্ডয়নের পর একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে নেপাল-চীন সীমান্তে মাউন্ট ধুলাগিরি অঞ্চলের মুস্তাং জেলায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
মাউন্ট ধুলাগিরি বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, যার উচ্চতা ৮ হাজার ১৬৭ মিটার।
বিএসডি/ এমআর