ন্যাটো সামরিক জোট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে দুদিনব্যাপী সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলসে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সেখানে পৌঁছান তিনি। খবর এএফপির।
যুক্তরাজ্যে জি–৭ সম্মেলন শেষে ব্রাসেলসে যান বাইডেন। সেখানে বেলজিয়ান প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রু তাঁকে স্বাগত জানান। সম্মেলনে ন্যাটোর ২৮টি সদস্যদেশের নেতারা যোগ দেবেন। সম্মেলন উপলক্ষে ব্রাসেলসে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর ন্যাটো নেতারা যৌথ বিবৃতি দেবেন। বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি বাইডেন কড়া কোনো বার্তা দেবেন বলে আশা করছেন ন্যাটো নেতারা। আগামী বুধবার পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ন্যাটো সম্মেলনে মহাকাশ, সাইবার পরিসর ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে।
বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাকে সুলিভান বলেন, ইশতেহারে চীনকে নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হবে না। ভাষাও খুব বেশি উত্তেজনাপূর্ণ হবে না।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত এবং সিরিয়া ও লিবিয়ায় তুরস্কের সেনা অভিযানের কারণে সৃষ্ট সংকট সমাধানে ন্যাটোর মিত্রদেশগুলো পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাটোর বৈঠকের পরে বাইডেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সেনা অবস্থান বজায় রাখতে চায় তুরস্ক।
আগামী মঙ্গলবার ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনে যোগ দেবেন বাইডেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বাইডেন।
তবে বাইডেন তাঁদের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন না। স্থানীয় সময় আজ বিকেলেই তিনি জেনেভার উদ্দেশে রওনা দেবেন।