সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক :
সাধারণ শিশুদের মত পথশিশুদের জন্ম নিবন্ধন তাদের নাগরিক অধিকার। প্রতিটি পথশিশুকেই জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। না হলে, তাদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে নানা জটিলতার সৃষ্টি হবে। রেলস্টেশন, লঞ্চঘাটসহ নানা জায়গায় ছড়িয়ে থাকা পথশিশুদেরকে তাদের অধিকার আদায়ে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য জন্ম নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ফোরামের অধিভুক্ত সংগঠনগুলো হলো পথশিশু সেবা সংগঠন, মায়ের আঁচল, পথের ইশকুল, ইনসিডিন বাংলাদেশ, জুম বাংলাদেশ, একমাত্রা সোসাইটি, মজার ইশকুল, শিশু তরী, সাজেদা ফাউন্ডেশন, সুধা, লিডো, ফ্রিল্যান্স, লেট ফর লাইফ, টিকান শেল্টার, বারাকা ও জে ডব্লিউ মায়ের কোল।
বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন না থাকার কারণে পথশিশুরা রেজিস্টার্ড কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনা। জেএসসি পরীক্ষা থেকে শুরু করে এসএসসি ও এইচএসসি কোন পরীক্ষায়ই অংশ নিতে পারেনা। মাঝপথে পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি তাদেরকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায়ও আনা যাচ্ছে না।
তারা আরও বলেন, রেলস্টেশন, বস্তি, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট,পার্ক, ফুটপাথসহ নানা ভাসমান জায়গায় বসবাসরত পথশিশুরা পরিচয় ও ঠিকানাবিহীন বেড়ে উঠছে। অনেক ক্ষেত্রে মা-বাবার নাম জানা থাকলেও তাদের কোন ঠিকানা জানা নেই, কিংবা এলাকার নাম জানা থাকলেও তারা পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা বলতে পারেনা। আবার অনেকেই আছে যাদের মা-বাবা আছে কিন্তু কেউ তাদের সঙ্গে থাকে না বা তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব সমস্যার কারণে তাদের জন্ম নিবন্ধন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিগত দিনগুলোতে জন্ম নিবন্ধন অনেক সময় শিশুদের সংগঠনের বা শেল্টার হোমের বা ব্যক্তিগত ঠিকানা দিয়ে করা যেত। সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড কাউন্সিলররা সহযোগিতা করত।
কিন্তু বর্তমানে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে স্থায়ী ঠিকানা, মা-বাবার নাম ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি আবশ্যক হওয়ায় এসব পথশিশুদের জন্ম নিবন্ধনে নানা ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে এগিয়ে আসা খুবই জরুরি।
বিএসডি/জেজে