এক দশক ধরে বলিউডের রাস্তায় হাঁটছেন পরিণীতি চোপড়া। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়ে তাঁর ঝুলিতে ‘হিট’ ছবি নেই বললেই চলে! পরিণীতির অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছে, এমনটাও সচরাচর ঘটেনি। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ফিন্যান্সে বিবিএ করা পরিণীতি চোপড়া আর উচ্চমাধ্যমিকে ফেল আলিয়া ভাটের যাত্রা শুরু হয়েছিল একই সঙ্গে। ইতিমধ্যে আলিয়া বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গোনা অভিনেত্রীদের একজন তিনি। কিন্তু পরিণীতি এখনো ‘স্ট্রাগলিং অ্যাক্টর’ হিসেবেই পরিচিত। নিজেকে ভালো অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে পরিণীতির অভিনয়ের ক্যারিয়ারে একটি ভালো বছর এসেছে।
সামনে ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেওয়ালের বায়োপিকেও দেখা যাবে তাঁকে। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে পরিণীতি বলেন, ‘একজন বলিউড তারকার ক্যারিয়ারের সঙ্গে অনেক কিছু জড়িয়ে থাকে। মেকআপ, হেয়ার স্টাইল, কথা বলা—নানা কিছু। “পাবলিক ফিগার” হওয়া সহজ কথা নয়। আমি কিছুই শিখে আসিনি। আমি যেদিন সেটে গেছি, সেদিনই অভিনয় শেখা শুরু করেছি। তাই আমি বেশ কিছু ভুল করেছি। সেসব শুধরে নিজেকে সামলে আমি সামনে এগোতে চাই।’
২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে পরিণীতি অভিনীত ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’। ছবিতে পরিণীতির অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। ‘সন্দ্বীপ ঔর পিংকি ফারার’ ছবিতেও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাজিনকে পছন্দ করেছেন দর্শক ও সমালোচকেরা।
এক দশকে পরিণীতির যে কোনো উন্নতি হয়নি, সে কথা একেবারেই ঠিক নয়। অনেকটাই করতে করতে শিখেছেন। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পানি কীভাবে ফুটাতে হয়, সেটাও জানতাম না! কিন্তু একটা ব্যস্ত দিনেও এখন আমি বন্ধুদের দাওয়াত করে তাদের জন্য নিজ হাতে রাঁধি। হয়তো ছোট কোনো ডিশ। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। আমি প্রতিনিয়ত শিখছি। তবে অভিনয়ে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এটুকু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, আগের চেয়ে আমি বেশ পরিণত।’