নিজস্ব প্রতিবেদক:
ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম।
এর ফলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আমদানিকারক, তৈরি পোশাক রফতানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডা’র সচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, ১৯টি অফডকে ৭৮ হাজার ৭০০ কনটেইনার ধারণক্ষমতার বিপরীতে এখন আছে ৯ হাজার ৭০০ রফতানি পণ্যভর্তি, ৮ হাজার ৩০০ আমদানি পণ্যভর্তি ও ৩৩ হাজার খালি কনটেইনার। ধর্মঘটের কারণে ডিপো থেকে কারখানা বা বন্দরে কনটেইনার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
পরিবহন মালিক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে দাবি মানা হলে ধর্মঘট স্থগিত করা হবে। নয়তো পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘট চলবে।
বন্দরের প্রবেশমুখ খ্যাত নিমতলা মোড়, সল্টগোলাসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধের লক্ষ্যে অবস্থান করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইম মুভার ঢুকতে পারেনি বন্দরে। মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বন্দরের ভেতরে থাকা বেশিরভাগ প্রাইম মুভারও অলস বসে রয়েছে। ফলে বন্দরের এনসিটি, সিসিটি ও জিসিবির জেটি ও ইয়ার্ডে লোড-আনলোডে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাইনুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ১৫ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আমরা তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবহন বন্ধ রেখেছি।
১৫ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের অগ্রীম আয়কর নেওয়া যাবে না এবং এ পর্যন্ত নেওয়া অগ্রীম আয়কর ফেরত দিতে হবে। ১০ বছর ধরে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকদের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে, অবিলম্বে লাইসেন্স দেওয়া চালু করতে হবে ইত্যাদি।
একজন বন্দর ব্যবহারকারী বাংলানিউজকে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধকল সামলানোর আগেই পরিবহন ধর্মঘটে বন্দরে অচলাবস্থা সৃষ্টি আত্মঘাতী। সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকাসহ অনেক বন্দরে যেখানে জাহাজ জটে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে। এ ধরনের ধর্মঘটের কারণে তৈরি পোশাক রফতানির লিড টাইম, বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থান ইত্যাদিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিএসডি/আইপি