নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বৃদ্ধির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কিনা প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি-এইচএসসির সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘গত বছরের ন্যায় ২০২২ সালেও পাবলিক পরীক্ষা নিতে চাই আমরা। তবে সময়মতো হবে না। এটি খুবই স্বাভাবিক। কারণ শিক্ষার্থীরা সেভাবে ক্লাস করতে পারেনি। আমরা একটা আভাস দিয়েছি যে, হয়তো ক্লাস করিয়ে বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষাগুলো নিতে পারব। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই পরীক্ষা হবে। এখনও সিদ্ধান্ত সে জায়গায় আছে। আমাদের এখনও সেটিই পরিকল্পনা।’
সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২২ সালের পরীক্ষা হবে কিনা জানতে চাইলে জবাবে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
মহামারির কারণে নির্দিষ্ট তারিখ বলা সম্ভব নয় জানিয়ে দীপু মনি বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করতে থাকব এবং ক্লাস করাতে থাকব। যখন নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে, তখন আমরা পরীক্ষাটা নেব। আশা করি পরীক্ষা নেওয়ার দুই থেকে তিন মাস আগে বলতে পারব, কোন তারিখে পরীক্ষা হচ্ছে। সদিচ্ছা যতই থাকুক, এটা তো আমাদের হাতে নেই।
দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৫৪৩ দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার শ্রেণিকক্ষে ফেরে শিক্ষার্থীরা।
সে সময় স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট ও পাঠ মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা এসএসসি নিতে পেরেছিলাম কিন্তু এইচএসসি নিতে পারিনি। ২০২১ সালে পরীক্ষা হবে হবে না এরকম নানান অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে ছিল বলে করতে (পরীক্ষা নিতে) পেরেছি।’
বিএসডি/ এলএল