বিনোদন ডেস্ক:
মারধর ও যৌন হয়রানির অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন এ আদেশ দেন।
তিন আসামির মধ্যে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি এ মামলায় জামিনে রয়েছেন। অপর আসামি শহিদুল আলম পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা গেল কিনা, আগামী ৩ মার্চ সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।
গত ২৭ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন নাসির উদ্দিনের তিন নারী সহযোগী। তারা হলেন—লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা।
গত ১৪ জুন চিত্রনায়িকা পরীমনি সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে মামলা করার পর দুপুরে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে এজাহারভুক্ত দুই আসামি নাসির ও অমিকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় ওই বাসা থেকে মদ ও ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
ওই বাসা থেকে নাসির ও অমির সঙ্গে তিন নারীকেও গ্রেফতার করা হয়, যাদের ‘যৌন কাজে’ সেখানে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
পরে মধ্যরাতে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের এসআই মানিক কুমার শিকদার।
এর পর এ মামলায় গত ১৫ জুন আদালত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া অপর তিন আসামি লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বর্তমানে নাসির জামিনে রয়েছেন। তবে অমি কারাগারে আটক রয়েছেন।
বিএসডি/জেজে