পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজারে পর্যটক সেজে পাচারকালে পুলিশ ৫০ হাজার ইয়াবার চালান জব্দ করেছে।
রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের হরিণা ফাঁড়ির নুইন্ন্যা মুইন্ন্যা ব্রিজের ওপর এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইয়াবা পাচারে অভিযুক্ত সাত যুবককে গ্রেফতার ও একটি কার এবং দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হল চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার আমিরাবাদ সুখছড়ি সুন্নিয়াপাড়ার সুলতান আহমেদের ছেলে ওমর ফারুক (২৯), মৃত নবী হোছেনের ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৮), আলী আহমেদের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪৮), মাহবুবুল আলমের ছেলে রিদুয়ানুল করিম (২২), আবদু ছবুরের ছেলে মো. সজিব, মো. রাজু (২৭) ও মৃত সাধন চৌধুরীর ছেলে ডাবলু চৌধুরী (৪১)।
পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, গোপন সূত্রে খবর আসে পর্যটকের বেশে ইয়াবার একটি বড় চালান উপকূলীয় মহাসড়ক দিয়ে চট্টগ্রামে পাচার হচ্ছে। এটি জানার পরই একটি চৌকস টিম নিয়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের হরিণা ফাঁড়ির নুইন্ন্যা মুইন্ন্যা ব্রিজের ওপর চেকপোস্ট বসায়। এ সময় সড়ক দিয়ে আসা একটি প্রাইভেট প্রিমিওকার, একটি সুজুকি জিক্সার ও আরেকটি ইয়ামাহা ফেজার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে গাড়িতে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ইয়াবার পুটলি বের করা হয়। তা নিয়ে গুনে সেখানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
ওসি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে উখিয়ার কোটবাজার হতে ক্রয় করা ইয়াবা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে চকরিয়া-পেকুয়া উপকূলীয় মহাসড়ক ব্যবহার করে লোহাগড়ায় নেওয়া হচ্ছিল। সেখানে পৌঁছানো গেলে তা পরে চাহিদামতো চট্টগ্রাম ও আশপাশ এলাকায় সরবরাহ করা হতো। তারা ইতিপূর্বেও পর্যটক সেজে সঙ্ঘবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি বড় ইয়াবার চালান চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পৌঁছে দেয়।
গত দুদিন আগে তারা পর্যটক সেজে কক্সবাজার গিয়েছিলেন।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। উখিয়ায় কারা তাদের পার্টনার তাদেরও শনাক্তের কাজ চলছে।
বিএসডি/এসএফ