ডেস্ক নিউজ-
আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বাড়ল আংশিক ‘লকডাউনে’র সময়সীমা। যাকে রাজ্য সরকার বলছে কোভিড বিধি-নিষেধ।
বুধবার (১৪ জুলাই) রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সিনেমা হল, স্কুল-কলেজ ও সমস্ত লোকাল ট্রেন। সমস্ত রাজনৈতিক সামাজিক জমায়েত বন্ধ থাকবে।
তবে ১৬ জুলাই থেকে কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। উঠে যাচ্ছে দোকান-বাজার খোলার বিধি-নিষেধ এবং নাইট কারফিউ।
পাশাপাশি জানানো হয়েছে, যেহেতু এখনও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, সেহেতু আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতবারের মতো কলকাতার রেডরোডসহ রাজপথের বিভিন্ন অংশে ঈদের নামাজের জন্য জমায়েত করা যাবে না। তবে কয়েক ধাপে আগামী ২১ জুলাই মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করা যাবে।
এছাড়া জানানো হয়েছে, স্কুল-কলেজ, লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকলেও আগামী ১৬ জুলাই থেকে কলকাতায় চলবে মেট্রোরেল। সপ্তাহে পাঁচদিন ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চালানো যাবে। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। খোলা থাকবে দোকানপাট, বাজার, হাট।
রাজ্যের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাদের পক্ষ থেকে সরকারকে জানানো হয়েছিল, যেহেতু ভারতের নিরিখে পশ্চিমবাংলায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত দৈনিক সংক্রমণ। তাই আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ রেখে স্থানীয় স্তরে নিত্যযাত্রীদের সুরাহা দিয়ে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হোক। নয়তো যেভাবে বাসে ভিড় করছেন অফিস যাত্রীরা, তা শিউরে ওঠার মতো। এছাড়া তাদের পরামর্শ ছিল, আস্তে আস্তে রাজ্যে বিধি-নিষেধ শিথিল হোক। চালু হোক ব্যবসা-বাণিজ্য। সেই পরিপ্রেক্ষিতে লোকাল ট্রেন বন্ধ রেখে স্থানীয় স্তরে মেট্রোসহ সব গণপরিবহন চালু করল মমতা সরকার।
অন্যদিকে ঈদের পর অক্টোবরে দুর্গাপুজায় মাতবে রাজ্যবাসী। কিন্তু বর্তমানে গতবারের মতো এবারও দুর্গাপুজায় করোনা অতিমারির আবহ রয়েছে। তার ওপর গবেষকদের মতে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় পুজার আকাশে বিপর্যয়ের ঘনঘটা। অতিমারির আবহে কীভাবে জমায়েত না করে সুষ্ঠুভাব সংক্রমণ এড়িয়ে পুজা সম্ভব, তাই নিয়ে প্রস্তাব
পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকার অনুমোদন দিলে এ বছর দুর্গাপুজা হবে। পুজার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী নিদান দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে কলকাতার ছোটবড় মিলিয়ে সাড়ে চারশ’র বেশি পুজা কমিটি।
বিএসডি/সাজ্জাদ