পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হালিমা (২৭) নামের এক নারীর গর্ভের সন্তান (ভ্রুন) হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ভূক্তভোগী গুরুতর আহত হালিমা বেগম এর বোন ফাতিমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) মঠবাড়িয়া থানায় প্রতিপক্ষ ১! আঃ রহমান (৫০) পিতা মৃত্যু আঃ মজিদ ২!মোঃ মনির (৩২) পিতা মৃত্যু আঃ জব্বার ৩! মন্নান (৫৩) পিতা মৃত্যু আঃ মজিদ ৪! মোসাঃ কহিনুর বেগম (৪৫) স্বামী আঃ মন্নান ৫! মোসাঃ সোনিয়া বেগম (৩০) পিতা আঃ রহমান ৬! মোসাঃ আকলিমা (৪০) স্বামী আঃ রহমান। এই ৬ জনকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
হালিমা বেগম উপজেলার মধ্য তুষখালী গ্রামের আঃ ছত্তারের মেয়ে ও একই গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) মামলার ৩ নারী আসামী কহিনুর বেগম, সোনিয়া বেগম ও আকলিমা বেগম মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত হালিমা বেগম ও তার বোন ফাতিমা বেগম ওই গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে ফরায়েজ জমি ও অন্য মালিকানাধীন জমি কিনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। হালিমার স্বামী জীবনের তাগিদে ফেনী শহরে দিনমজুরের কাজ করে। এদিকে প্রতিপক্ষ রহমান গংরা দুই বোনকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন সময় পায়তারা চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে।
গত ৮ই আগস্ট সোমবার এ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা হালিমা বেগমকে ওই রহমান গংরা এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার পেটে একাধিক লাথি মারে। হালিমা বেগমকে বাঁচাতে এসে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় হালিমার মেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ কে সংবাদ দিলে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ গুরুতর আহত হালিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফেরদৌস ইসলাম জানান আহত হালিমা ৮ আগস্ট আমাদের স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে মারধরের স্বীকার হয়ে ভর্তী হয়েছেন। তার গর্ভেরসন্তান (ভ্রুন) নষ্ট হয়েছে। সে এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা, নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিএসডি/ এমআর