নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক গৃহবধূকে (২০) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. কামরুজ্জামান (২৩), দুদু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) এবং জামালপুরের দেউরপাড়া গ্রামের আব্দুল সেখের ছেলে আয়নাল হক (৫০)। আয়নাল হক উপজেলার লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ওই গৃহবধূ উপজেলার উত্তর খড়িয়া গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আসামি কামরুজ্জামান গৃহবধূর কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূ কামরুজ্জামানের কাছে পাওনা টাকা চান।
সোমবার সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার কথা বলে কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী শফিকুল ইসলাম গৃহবধূকে লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গেলে নৈশপ্রহরী আয়নাল হক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খুলে দেন এবং ওই দুই যুবকের পরামর্শ অনুযায়ী গৃহবধূকে বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। পরে রাত দশটার দিকে কামরুজ্জামান, শফিকুল ও নৈশপ্রহরী আয়নাল জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন।
এক পর্যায়ে তারা ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন এবং এ ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। পরে ভুক্তভোগী তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন এবং অভিভাবকদের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি জানান।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে গ্রেফতার তিনজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুইজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য ভুক্তভোগী গৃহবধূকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিএসডি /আইপি