জেলা প্রতিনিধি:
পাকিস্তানিদের দোসরাই এখন বিভিন্নভাবে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন শেষে পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী বিএনপি জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বলেন, পাকিস্তানিদের রেখে যাওয়া দোসররাই ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করছে। এখন তারা কি নিয়ে রাজনীতি করবে তার পয়েন্ট পাচ্ছে না তাই তারা সারাক্ষণ অপপ্রচার চালাচ্ছে। চোরের মায়ের বড় গলা।
তিনি আরো বলেন, ভোটে গিয়ে আওয়ামী লীগকে, শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা যাবে না। তাই তারা নানা সময়ে নানা বিষয় নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র করছে। যারা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে আমাদের দেশে একটি অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। তাদের সাধের পাকিস্তান এখন ব্যর্থ রাষ্ট্র। তারা বাংলাদেশকেও ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যত বধ্যভূমি আছে, যত যুদ্ধভূমি আছে এবং মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক জায়গা আছে তা সংরক্ষণ করা হবে। আমাদের চূড়ান্ত তালিকা হয়ে গেছে। আমরা ডিজিটাল সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করছি। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই ওয়েবসাইটেই সার্টিফিকেট পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যেই বীরের কণ্ঠে বীরগাঁথা কর্মসূচি শুরু হবে। এই কর্মসূচিতে জীবিত প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধকালীন বর্ণনা রেকর্ড করে সংরক্ষণ করা হবে। মামলার কারণে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন আটকে ছিলো। করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে নভেম্বরেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইখুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন প্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার বক্তব্য রাখেন।
বিএসডি /আইকে