আইনে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এগিয়ে নেওয়া, সুরক্ষা ও কার্যকরভাবে নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে, সরকার সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষার জন্য ১৬ সদস্যের একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করবে। তার মধ্যে ১২ জন থাকবেন সাংবাদিক, যাঁদের সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো মনোনীত করবে।
তবে এ আইনের বেশ কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে পাকিস্তানি সাংবাদিকদের সংগঠন পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (পিএফইউজে)। তারা বলছে, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন (২০২১)-এর কিছু ধারা গণমাধ্যমকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন বলেছেন, এই আইন প্রথমবারের মতো মাঠপর্যায়ের সাংবাদিকদের সেই সব অধিকার দেবে, যেগুলো উন্নত সমাজের সাংবাদিকেরা ভোগ করেন।
অপরদিকে পিএফইউজের মহাসচিব নাসির জাইদি বলেছেন, যেকোনো সরকার আইনের ৬(৩) ধারাটি সাংবাদিকদের ফাঁসানোর জন্য ব্যবহার করতে পারে। এটি সংশোধন করা উচিত ছিল।
আইনের ধারা ৬-এ বলা হয়েছে, ‘সব সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকর্মীকে অবশ্যই অন্যের অধিকার ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং জাতীয়, জাতিগত, ধর্মীয়, সাম্প্রদায়িক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক বা লিঙ্গভিত্তিক বিদ্বেষমূলক কিছু করা যাবে না, যা বৈষম্য, বৈরিতা ও সহিংসতা উসকে দিতে পারে।’
বিএসডি/ এলএল