পাঠ্যবই থেকে বিতর্কিত দুই লাইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ময়লাহীন হক চুননু।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে বলব তিনি যেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়ে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা হচ্ছে। সামান্য জিনিস যেন বড় না হয়। প্রয়োজনে কনসার্ন লোকের সঙ্গে কথা বলে পাঠ্যপুস্তক থেকে দুইটি লাইন প্রত্যাহার করলে বিতর্ক থাকবে না।
রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পাঠ্যবইয়ে শরীফার গল্পের প্রসঙ্গ টেনে চুন্নু বলেন, থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ এবং হিজড়ার মধ্যে পার্থক্যটা কী। নিজেকে নিজের জন্মগত লিঙ্গ বাদে অন্য কোনো লিঙ্গ মনে করাটাই ট্রান্সজেন্ডার। বিষয়টি পুরোপুরি মানসিক। হিজড়া যারা তারা হলেন থার্ড জেন্ডার। বিষয়টি জন্মগত, এটি মানসিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তারাই থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচিত। ট্রান্সজেন্ডার শুধুমাত্র পশ্চিমা বিশ্বের একটি শ্রেণির মতবাদ। এটা প্রবর্তিত হয়েছে গতানুগতিক সামাজিক ধারণা অর্থাৎ পরিবার ও ধর্মকে ভেঙে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটি থার্ড জেন্ডার হিসেবে চালিয়ে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্য কোনো ক্রমেই ভালো বলে আমরা মনে করছি না। এ ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটি ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ মতামত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দল দলীয়ভাবে ট্রান্সজেন্ডার ধারণা বিরোধী। আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী তারা বিশ্বাস করি যারা হিজড়া তারা নিজ থেকে হিজড়া নন। জন্ম থেকে তারা হিজড়া। আল্লাহ তাদের হিজড়া হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাদের অধিকার রাষ্ট্র ও ধর্ম স্বীকার করে।
বিএসডি / এলএম