জেলা প্রতিনিধি, পাবনা:
পাবনায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মানিক হোসেন (২৬) হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ রায় দেন। নিহত মানিক হোসেন পাবনা সদর উপজেলার চর বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার আব্দুল গফুর হোসেনের ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার নাজিরপুর বাড়ইপাড়া গ্রামের সুলতান প্রামাণিকের ছেলে স্বপন প্রামাণিক (২৩) ও ইকরাম হোসাইনের ছেলে ইকবাল হোসাইন (২৪)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি দুপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে আসেননি মানিক। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরদিন সকালে পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি মাঠে মরদেহ পড়ে খাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। পরিকল্পিতভাবে অটোরিকশা ছিনতাই করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার।
এ ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত মানিকের বাবা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির কাছে ৮০ হাজার টাকা মূল্যে অটোরিকশাটি বিক্রি করার সময় তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী দুইজনের ফাঁসির আদেশ দেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সনৎ কুমার সরকার বলেন, এই দুই আসামি ও ভিকটিমের পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। ছেলেটি পারিবারিক কলহে আত্মহত্যা করে। শত্রুতা করে ছেলেটির মরদেহ আসামিদের বাড়ির পাশে ফেলে রাখা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা উল্লেখ থাকলেও দুই আসামির ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সামাদ খান রতন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানিককে হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অটোরিকশা ছিনতাই করতেই মানিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।