নিজস্ব প্রতিবেদক,
পাবনায় ফ্রুট সিরাপের নামে ক্ষতিকারক যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরিকারক বেশ কয়েকটি ওষুধ কারখানায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাডিপ অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম ও র্যাব-১২ পাবনা-সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের জালালপুর বাজার সংলগ্ন মো. মাহাবুবুল আলমের মেসার্স এম এস ল্যাবরেটরিজ ইউনানী এস এম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে মানবদেহে ক্ষতিকারক বিভিন্ন নামের বেশ কিছু যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
অভিযানে জানা যায়, এম এস ল্যাবরেটরিজ কারখানায় ফ্রুট সিরাপের অনুমতি নিয়ে বিএসটিআই এর সিল ব্যবহার করে মানবদেহের ক্ষতিকারক বিভিন্ন যৌন উত্তেজন সিরাপ তৈরি করে আসছে। অভিযানে কারখানায় প্রস্তুতকৃত মালামাল সংরক্ষিত যত্রতত্রভাবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাখার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি ইউনানী কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাদের ক্ষতিকারক কোনো ওষুধ বা সিরাপ তৈরি না করার জন্য সতর্ক করেন। বিগত বছরে এবং চলতি বছরে এই কারখানায় আরো বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জরিামানাসহ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেছিলো প্রশাসন। স্বল্প সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আবারো সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে অনুমোদিত মালামালের পাশাপাশি গোপনভাবে ক্ষতিকারক যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি করছেন তারা।
জেলার অনুমোদিত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই এর ফ্রুট সিরাপ তৈরির অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করছে বিভিন্ন নামে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক যৌন উত্তেজক সিরাপ। আর এই ফ্রুট সিরাপ সেবন করে যুব সমাজ নানা অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে।
অভিযানের বিষয়ে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা র্যাবের একটি বিশেষ দলসহ আমরা বেশ কিছু ইউনানী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। শহর তলীর জালালপুর পাবনা ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন এম এস ল্যাবরেটরিজ ওষুধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে অভিযান করে কারখানার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া শহরের আরো বেশ কিছু কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে তাদের তৈরিকৃত মালের অনুমোদন থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে এ সব কারখানার বিরুদ্ধে নানা সময় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ আসে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনো ক্ষতিকারক ওষুধ তৈরি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।
বিএসডি/আইপি