নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) নিহত হওয়ার ঘটনায় বিদেশি অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ বাজার চেয়ারম্যানপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। আটকরা হলেন, নলদহ গ্রামের বকুল খানের ছেলে মুন্নাফ খান (৩০), নলদহ বাজারের দিরাজ সরদারের ছেলে নজরুল সরদার (৩৩)।
ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষ পরবর্তী ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুজনকে নলদহ বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।
তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে সদস্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো ইউনিয়নে প্রার্থী মারা যান বা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন, তাহলে সেখানকার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে পাবনা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইউপি ভোটকে সামনে রেখে শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) সুলতান মাহমুদের ১৫-২০ জন সমর্থক প্রচারণায় বের হন।
এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা। এতে সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় ইয়াসিন আলম মারা যান।
বিএসডি/ এসএ