পাবনা প্রতিনিধি :
সোমবার সকালে পাবনা জেলা দায়রা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী দেওয়ান মজনুল হক জানান, ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট সদর উপজেলার বলরামপুর পদ্মা নদী থেকে বিধবা নারী হেনা বেগমের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হেনা বেগমের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আটক করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, রিক্সাচালক রফিকুল বিধবা হেনা বেগমের সরলতার সুযোগ নিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। হেনা বেগম তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাতে অস্বীকৃতি জানায় রফিকুল। একপর্যায়ে কৌশলে পদ্মা নদীর পাড়ে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে নুরুলের সহযোগীতায় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী আরও জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণ ও আসামিদের জবানবন্দিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রফিকুলকে মৃত্যুদণ্ড ও নুরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি রফিকুল আদালতে উপস্থিত থাকলেও নুরুল পলাতক রয়েছে।