নিজস্ব প্রতিবেদক,
তিন কিশোরী, তারা পরস্পরের বন্ধু। দুপুরে একসঙ্গে বের হয়েছিলেন বাড়ি থেকে। কিন্তু বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হলেও তাদের কেউ বাড়িতে ফিরছিলেন না। পরে পরিবারের সদস্যরা এলাকার আশেপাশে খুঁজতে থাকেন। পরে পুকুরে তাদের তিনজনের মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখা য়ায়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ছত্তিশগড়ে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত তিনজন কিশোরীই আদিবাসী। তাদের নাম হলো- সোনামণি মাঝি, অনু মাঝি এবং আগস্তনা ওরাও। সবার বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। রায়পুর গ্রাম চা বাগানের বাসিন্দা তারা।
দুপুরের পর বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে পরিবার। পরে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসী তাদের খুঁজতে বের হন। একটা সময় রায়পুর চা বাগানের একটি পুকুর পাড়ে এক পাটি জুতো নজরে পড়ে। তৎক্ষণাৎ পুকুরে নেমে খোঁজ করতেই তিন কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মনে হচ্ছে, ওই তিন কিশোরী সাঁতার জানত না। তবে তারা কেন পানিতে নেমেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্য কোনো কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, তিন কিশোরীর দেহের পোশাক পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। তখন স্থানীয়রা পুকুরে নেমে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিএসডি/এমএম