আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
রোববার দুই দেশের প্রধানের মধ্যে ফোনে কথা হয়। ফোনালাপে পুতিনকে ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধের জন্য চাপ দেন এরদোগান।
দুই নেতার মধ্যে ফোনে কী কথা হয়েছে, এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের গুরুত্ব, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও এ অঞ্চলে মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন এরদোগান।
এরদোগান পুতিনকে বলেন, একটি স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করা এবং মানবিক পরিস্থিতির করণে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করা উচিত।
দুই নেতা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পরবর্তী আলোচনা ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সম্মত হন।
রোববার ইউক্রেনের আলোচক দলের সদস্য ডেভিড আরাখামিয়া জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পরবর্তী সরাসরি আলোচনা ২৯ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কে।
এর আগে দোহায় এক আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে তুরস্ক এবং বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা অবশ্যই চালিয়ে যাওয়া উচিত।যদি সবাই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে তাহলে শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলতে কে যাবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনীয়দের সম্ভাব্য সব উপায়ে সমর্থন করা দরকার যেন তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারে। তবে রাশিয়ার কথাও অবশ্যই যেকোনো উপায়ে শোনা উচিত।
ন্যাটো সদস্য তুরস্কের রাশিয়া ও ইউক্রেন–দুই দেশের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই বিষয়টি মধ্যস্থতার চেষ্টা করে যাচ্ছে তুরস্ক।
এছাড়া রাশিয়ার আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে তুরস্ক। তবে নীতিগতভাবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে আঙ্কারা। এমনকি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় যোগও দেয়নি দেশটি।
সূত্র:মিডল ইস্ট আই।
বিএসডি/ এল এল