জবি প্রতিনিধি
স্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে। এরই মাঝে উচ্ছাস নিয়ে স্কুলের ঘন্টা বেজে উঠার অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিবর্ণ হয়ে পড়া স্কুল-কলেজগুলো এখন সেজেছে নতুন সাজে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে ঢাকার ওয়ারি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল, গ্রেজুয়েটস্ উচ্চ বিদ্যালয়, সলিমুল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ এর আশেপাশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে স্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে চলছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজকর্ম। যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীরা। দরজা-জানালা সংস্কার, মাঠের ঘাস পরিষ্কারকরণসহ আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি ও নিচ্ছেন।
গ্রেজুয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খুশিদা বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার আমরা বিদ্যালয় পরিচ্ছন্নতা সম্পন্ন করেছি। আজ শ্রেণীকক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে। নতুন একটা ভবন নতুন করে নির্মাণ হচ্ছে, সেজন্য নির্মাণ শ্রমিকদের কাপড় বা আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র রেখে কিছুটা এলোমেলো আছে। তবে সেগুলো আগামীকাল সকালের মধ্যে গুছানো হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি জীবন কাটিয়েছি।
ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান, শিক্ষকদের সাথে মিটিং সব মিলিয়ে পুরনো রুটিনমাফিক জীবন ফিরে পাব সব কিছু যেন স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে।
ওয়ারি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা সুলতানা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়টি করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়ার বুথ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সম্পুর্ণ বিদ্যালয়ে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার কাজ এখনো চলমান। সন্ধ্যার মধ্যেই শ্রেণীকক্ষ গুলো পাঠদানের উপযোগী হয়ে যাবে।
গ্রেজুয়েট স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইসমত জাহান বলেন, আজ এসাইনমেন্ট জমা দিতে এসেছি। গতকাল রাত থেকেই সময় যেন আর অতিবাহিত হচ্ছে না, কবে আসবে ১২ তারিখ? আবার ইউনিফর্ম পরিধান করে স্কুল আসব, সকল বন্ধুবান্ধব দেখতে পাব, আড্ডা দিব। সব মিলিয়ে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে।
ইসলামিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ফাতেমা বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুলে ছাত্রছাত্রী আসবে এটা ভেবেই আমি খুব আনন্দিত।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৬১ সপ্তাহ যাবত বন্ধ ছিলো বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রোববার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারও মেতে উঠবে এসব স্কুল-কলেজ, এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের।
বিএসডি/জবি/এস/এমএম