আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রাণঘাতী রোগ করোনা মূলত শ্বাসতন্ত্রের রোগ হলেও মানবদেহের অন্যান্য অংশেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে। যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়ামে পরিচালিত পৃথক দুই গবেষণায় সম্প্রতি এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন- এমন ৩৫ ব্যাক্তির বীর্যের নমুনা সংগ্রহ করে। এই ব্যক্তিদের সবারই বয়স ৩৫ কিংবা তার আশেপাশে।
সেসব নমুনা পরীক্ষার পর দেখা গেছে, সবার ক্ষেত্রেই শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি কমে যাওয়ার ব্যাপারটি ঘটেছে। এক মাসেরও কম সময়ে মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, এমন কয়েকজন ব্যক্তির শুক্রাণুর সংখ্যা কমেছে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত এবং গতি কমেছে ৬০ শতাংশ ।
বেলজিয়ামের একদল বিজ্ঞানীও সম্প্রতি ১২০ জন পুরুষের বীর্যের নমুনা বিশ্লেষণ করে প্রায় একই তথ্য পেয়েছে। গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যারা এক থেকে দুই মাসের মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ শতাংশ কম পাওয়া গেছে এবং গতি কমেছে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত।
যারা দুই মাসেরও বেশি সময় আগে কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা বেড়েছে শুক্রাণুর সংখ্যা, কিন্তু তার গতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়েনি। বেলজিয়ামের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের ব্যক্তিদের দেহে শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয় ৬ শতাংশ কম এবং এর গতি স্বাভাবিক গতির চেয়ে ২৮ শতাংশ কম।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে সাম্প্রতিক এই গবেষণা সম্পর্কে বলেন, ‘করোনা থেকে সেরে ওঠা যেসব দম্পতি সন্তান ধারণ করতে চান- তাদের জন্য এই গবেষণা একটি দুঃসংবাদ।’
বেলজিয়ামের বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় আমরা কেবল করোনা থেকে সেরে ওঠার এক, দুই এবং তিন মাস পর পুরুষদের উর্বরতায় এই রোগ কী প্রভাব ফেলে তা দেখানোর চেষ্টা করেছি। স্থায়ীভাবে এটি পুরুষদের উর্বরতায় প্রভাব ফেলে কি না- সে বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’
এসএ