জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা ও পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কেন ব্যর্থ হলো তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া সারাদেশে সহিসংতা রোধে কোনো সাফল্য নেই সরকারের।
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল মিলনায়তনে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধংস হয়ে যাচ্ছে। সারা পৃথিবীতে আমাদের সম্প্রীতির ইমেজ ধ্বংস হয়ে এখন নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হচ্ছে। শারদীয় দূর্গাপূজায় কখনোই হামলার ঘটনা ঘটেনি, এখন কেন ঘটছে তাও অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের মানুষ ঐতিহ্যে বিশ্বাস করে, দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও হামলা পছন্দ করে না।
জিএম কাদের আরও বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে একজন প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রধর্ম মানি না বলে, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তার বক্তব্যে কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষের অন্তরে আঘাত করেছে। ওই প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী হিসেবে সংবিধান সংরক্ষণের শপথ ভঙ্গ করেছেন। ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখেছে। তাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে ওই মন্ত্রী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করতে চায়, জাতীয় পার্টি তাকে ছেড়ে দেবে না।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রাসুল (স.) ইহুদিদের সঙ্গে চুক্তি করে সকলের ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। এটাই পৃথিবীর সর্ব প্রথম অসাম্প্রদায়িক চুক্তি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করে সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কখনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশ পরিচালনা করলেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এক প্রতিমন্ত্রীর উসকানিমূলক বক্তব্যের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক হামলার যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ।
ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার, লিয়াকত হোসেন খোকা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিন, ড. নূরুল আজহার শামীম, জহিরুল আলম রুবেল, হেনা খান পন্নী, অ্যাডভোকেট লাকি বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, নিগার সুলতানা রানী, এইচ. এম শাহারিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. সামছুল হক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, কাজী আবুল খায়ের, মমতাজ উদ্দিন, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভূঁইয়া, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, এসএম আল জুবায়ের, মিজানুর রহমান মিরু, অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, আকতার হোসেন দেওয়ান, এমএ সোবাহান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, হাফেজ ক্বারি ইসারুহুল্লা আসিফ, শেখ মোহাম্মদ শান্ত, মীর সামসুল আলম লিপ্টন, শাজাহান কবির, আব্দুস সাত্তার গালিব, মিয়াজী মো. সহিদুল ইসলাম লিটন, কেন্দ্রীয় নেতা রিতুন নুর, আবু সাঈদ স্বপন, মাওলানা মো. খলিলুর রহমান সিদ্দিকী, হুমায়ুন কবির শাওন, লোকমান ভুইয়া রাজু, আলমগীর কবির মজুমদার, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ফারুক শেঠ, মো. সোলায়মান সামি, আসমা আক্তার রুমি, তাসলিমা আকবর রুনা, সিমানা আমির, জিয়াউর রহমান বিপুল, মোস্তাইন বিল্লাহ, রমজান আলী ভূঁইয়া, আলাউদ্দিন আহমেদ, মো. কাদির, মোমেনা বেগম, মোখলেছুর রহমান বস্তু, জাহাঙ্গীর আলম, ইঞ্জিনিয়ার এহলান উদ্দিন। জাতীয় তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোড়ল জিয়াউর রহমান, জাতীয় ছাত্র নেতা নাজমুল হাসান রেজাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
বিএসডি/এসএফ