লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব হলো পূজা। শরতে উদযাপিত হয় তাদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা। ভোজনরসিক বাঙালির কাছে উৎসব মানেই নানা ধরনের খাবারের আয়োজন। পূজা-পার্বণে সেই আয়োজন আরও বেড়ে যায় যেন। পূজার ভোজ মানে চিরাচরিত বাঙালি খাবার। নানা সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় পূজার আয়োজনে।
পূজা যে এসেছে সেই আগমনী বার্তা বোঝা যায় কাশফুলের মাথা দোলানো দেখে। আর বোঝা যায় মা-মাসিদের রান্নাঘরে ব্যস্ততা দেখে। চিড়া, মুড়ি আর গুড় থেকে শুরু করে পিঠাপুলি, নাড়ু, মিষ্টি, মাংসের তরকারি, মাছের তরকারি সবকিছুই থাকে এই তালিকায়
কিছু খাবার আছে যা ছাড়া পূজা শুরু হতেই চায় না যেন! যেমন নরম তুলতুলে ফুলকো লুচি, লেবুর রস মেশানো ভাত, বেগুন আর মাছ ভাজা। সেইসঙ্গে আরও থাকে পটলের দোলমা, আলুর দম, শুক্তো আর চাটনি।
পূজার খাবারে আলুর দম খুব পরিচিত একটি পদ। এটি থাকা চাই-ই। ফুলকো লুচির সঙ্গে আলুর দম না হলে স্বাদ জমে না। সেইসঙ্গে থাকা চাই বিভিন্ন রকম ফলের চাটনি। সেসব চাটনি খাবারে রুচি বাড়াতে দারুণ সাহায্য করে।
শুধু কি লুচি আর আলুর দম? কত পদের যে ভর্তা থাকে খাবারের আয়োজনে! গরম ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন সবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শস্যদানা, মসলা দিয়ে ঝাল করে ভর্তা না হলেও পূজার আনন্দ জমে না যেন!
পূজার খাবারে শুধু নিরামিষ রাখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। থাকতে পারে আমিষ-নিরামিষ দুই ধরনের খাবারই। শেষপাতে থাকে মিষ্টির আয়োজনও। তবে ষষ্ঠীতে সর্ষে ইলিশ ও অষ্টমীর সবচেয়ে চমকদার আয়োজন হলো খিচুড়ি। ঘরে রান্না করা এসব খাবার পূজার আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ।
যারা আমিষ খেতে ভালোবাসেন তারা পাঁঠার মাংস ও বিভিন্ন ধরনের মাছ রাখেন আয়োজনে। শেষ পাতে তো ডাল থাকেই। পূজার বিশেষ আয়োজনে অনেকে ছোলার ডাল রাখেন। পানীয় হিসেবে রাখেন টক দইয়ের শরবত।
মিষ্টি ছাড়া তো পূজার আয়োজন অসম্পূর্ণ। খাবারের শেষে মিষ্টি না হলে কি চলে? ছানার সন্দেশ, রসগোল্লা, মিষ্টিদই, ক্ষীর থাকে পূজার খাবারের আয়োজনে। এছাড়াও প্রসিদ্ধ পূজার খাবারের মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম নাড়ু, তালের বড়া, দুধপুলি পিঠা ও মিষ্টি। আরও থাকে পদ্মচিনি, চিনি সন্দেশ ও বাতাসা।