আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আবারও বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী শনিবার (১৬ নভেম্বর) দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দুই নেতার মধ্যে এটি হতে চলেছে তৃতীয় বৈঠক এবং সম্ভবত সর্বশেষ বৈঠকও। এতে তারা বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে আলোচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও আনাদোলু।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠক করবেন বলে প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। উভয় নেতার এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের সাথে সম্ভাব্য আরও বেশি উত্তপ্ত সম্পর্কের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বেইজিং।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেছেন, পেরুর লিমায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরামের অবসরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাসহ বিস্তৃত পরিসরের বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে দুই নেতা আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বৈঠকের তারিখ নিশ্চিত করেননি তিনি।
এদিকে আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেরুর লিমায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) অবসরে চলতি সপ্তাহে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন বলে বুধবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।
জ্যাক সুলিভান ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এটিই হবে দুই নেতার মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তিগত বৈঠক এবং প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাদের চূড়ান্ত বৈঠক।”
সুলিভান আরও বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় জো বাইডেন এবং তার দল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতা কার্যকরভাবে এবং দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করার জন্য কাজ করেছেন।”
রয়টার্স বলছে, বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশের দুই নেতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ান থেকে শুরু করে দক্ষিণ চীন সাগর এবং রাশিয়া ইস্যু পর্যন্ত উত্তেজনা কমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন।
জ্যাক সুলিভান বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেখিয়ে দিয়েছেন যে- নিজেদের মধ্যে পার্থক্য ও ভিন্নতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন তাদের সম্পর্ক পরিচালনা করতে পারে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সংঘাত বা সংঘর্ষে পরিণত হওয়া রোধ করতে পারে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “নেতা পর্যায়ে, সামরিক থেকে সামরিক স্তরে এবং আমাদের নিজ নিজ সরকারের প্রতিটি স্তরে যোগাযোগের উন্মুক্ত লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এটি করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।”