বিনোদন ডেস্ক:
নিয়ম অনুযায়ী, রায় পাওয়ার পর যে কেউ তাঁর আইনজীবীর কাছ থেকে ল ইয়ার সার্টিফিকেট নিতে পারেন। আদালতের রায় হয়ে গেছে সবাই জানেন। আমি ল ইয়ার সার্টিফিকেটও জোগাড় করেছি। এটা বৈধ। আমি যদি ভুয়া কাগজ জোগাড় করে শপথ নিই, তাহলে নিপুণ কি ভুয়া কাগজ দেখিয়ে আপিল করলেন? রায় হয়েছে বলেই তো সেটার প্রমাণ দেখিয়ে আপিল করেছেন তিনি। হাইকোর্টে আমি মামলাটা জিতেছি। কাঞ্চন ভাই সেই কাগজ পড়েই আমাকে শপথ পাঠ করিয়েছেন। এখানে প্রতারণা বা ছলনার কথা আসছে কোথা থেকে, বুঝতে পারছি না।’
এই চিত্রনায়ক আরও বলেন, ‘আপিলের কপি তো অনলাইনে পাবলিস্ট হয়েছে। সেই কাগজটাই আমি দিয়েছি। কিন্তু এটা নিয়ে এভাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই, আসলে আমি ভাবতেই পারিনি। তার সব অভিযোগই অস্বীকার করছি। কারণ, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। তিনি অনেক সম্মানিত মানুষ। আমি ও আমার ল ইয়ার কাঞ্চন ভাইয়ের অফিসে গিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এমনিতে আমাদের শিল্পী সমিতির জন্য শপথ জরুরি না, বরং সেদিন আমাদের সভা বৈধ। সেখানে কোরাম পূর্ণ হয়েছিল।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত ও পদটির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে ২ মার্চ (বুধবার) সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। সেদিন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এরপর শুক্রবার (৪ মার্চ) তৃতীয়বারের মতো শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নেন জায়েদ খান।
গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।
বিএসডি/ এফএস