প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই লগ্নে বিএনপি রাজনৈতিক ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসবে এবং জনগণও এটাই প্রত্যাশা করে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বিগত ৪৩ বছরের ইতিহাস মিথ্যার বেসাতি এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ইতিহাস। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে আওয়ামী লীগ কখনো বিতর্কিত করেনি। উচ্চাভিলাষী ও অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের দ্বারা জিয়া নিজেই ভিলেন হিসেবে জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান নিজের জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক না বললেও এখন বিএনপি নেতারা স্বাধীনতার অন্যতম পাঠককে ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করছেন। জিয়াকে ইতিহাসের নায়ক বানাতে গিয়ে বিএনপি নেতারা তাকে শুধু বিতর্কিতই করেননি, ইতিহাসের কাঠগড়ায়ও দাঁড় করিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ জাতির যত অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে। যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে, সে দলের কাছেই স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ সুরক্ষিত। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে বিএনপির মায়াকান্না তাদের কমিটমেন্টের অন্তঃসারশূন্যতা প্রকাশ করে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফাঁকা বুলি কেবল বিএনপির মুখেই মানায়।
স্বাধীনতার আন্দোলন জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি বিএনপি নেতাদের সর্বশেষ আবিষ্কার এবং ইতিহাস বিকৃতির নবরূপ।
তিনি বলেন, হাজার বছরের আরাধ্য স্বাধীনতার অমিয় সুধা পানে জাতিকে ধাপে ধাপে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ বিএনপি বঙ্গবন্ধুর পাশে জিয়াকে প্রতিষ্ঠা করার যে অপচেষ্টা করছে তা চরম ধৃষ্টতার শামিল। একজন মহানায়ক, আজন্ম সংগ্রামী মুক্তির রোল মডেলের পাশে গণতন্ত্র হত্যাকারী, হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি, মুখোশপরা গণতন্ত্রীর স্থান হতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের যে সত্য দিবালোকের মতো স্পষ্ট তা চাপা দিয়ে কারো কোনো লাভ নেই, এটা বিএনপি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
বিএসডি/এমএম