আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কাতারে প্রথমবারের মতো আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে দেশটির উপদেষ্টা পরিষদ শুরা কাউন্সিলের এই ভোটগ্রহণ। যদিও এই ভোটে নির্বাচনী অন্তর্ভুক্তি এবং নাগরিকত্ব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ভোটাররা সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। নারী এবং পুরুষ ভোটাররা আলাদা আলাদা ভোট দিচ্ছেন। আইনসভার ৪৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে ভোটাররা ৩০ জনকে নির্বাচিত করবেন। পরিষদের বাকি ১৫ সদস্যকে নিয়োগ দেবেন দেশটির ক্ষমতাসীন আমির।
দেশটির শিশুদের বইয়ের লেখক, শুধুমাত্র একটি নাম প্রকাশে ইচ্ছুক মুনিরা রয়টার্সকে বলেছেন, ভোট দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায়, আমি মনে করছি, এটি এক নতুন অধ্যায়। প্রার্থী হিসেবে নারীদের সংখ্যা দেখে আমি সত্যিই খুশি।
নির্বাচিত এই কাউন্সিলের আইনি এবং সাধারণ সরকারি নীতি প্রণয়ন ও বাজেট অনুমোদনের কর্তৃত্ব থাকবে। কিন্তু দেশটির প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণকারী নির্বাহী সংস্থাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে খুব সামান্য।
সর্বশেষ সরকারি তালিকায় দেখা গেছে, দেশটির ৩০টি জেলায় প্রায় ১৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন; তাদের মধ্যে নারী আছেন ২৬ জন। কাতারের এই নির্বাচনের প্রচারণা চলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, স্থানীয় সম্প্রদায়ের বৈঠকে ও রাস্তার পাশে বিলবোর্ডে বসিয়ে।
দেশটির মারখিয়া জেলার প্রার্থী খালিদ আলমুতাওয়াহ বলেন, এখানে মানুষের সঙ্গে দেখা করা, এসব বিষয়ে কথা বলা; এটি আমার জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা…। তবে এগুলো আমাদের দরকার। একই জেলার ৬৫ বছর বয়সী আরেক প্রার্থী সাবান আল জসিম বলেন, দিনের শেষে কাতারের জনগণ তাদের সিদ্ধান্তগ্রহণের অংশ হতে চলেছে।
২০০৩ সালের সাংবিধানিক গণভোটে অনুমোদন পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বছর দেশটির রাজধানী দোহায় বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের আগের এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, ভোটদানের যোগ্যতা নির্ণয়ে খুবই কড়াকড়ি অবলম্বন করা হয়েছে।