মুঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাসবাসরত জনসাধারণ বার বার বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবেলা করেই বেচেঁ থাকতে হয়। নদী ঘেরা ও দ্বীপাঞ্চল আধুনিক একটি পৌরসভা এবং ১২ টি ইউনিয়নের গলাচিপা উপজেলা। আর এই মানবিক বিপর্যয় কে বিলুপ্ত করতে প্রত্যেক জেলা, উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিবর্ষের উপহার গৃহ ও ভূমিহীনদের মাথা গুজার ঠাই করে দেয়ার মহত উদ্দেগ নিয়ে আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসায় প্রশংসিত। যা পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র সরকার প্রধান ইতি পূর্বে করেননি।
উপজেলার বিভিন্ন সুবিধা ভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা নিখুঁত ভাবে পর্যালোচনা, যাচাই বাছাই করে সরকারের নির্দেশনা কল্পে ভুক্তভোগীদের চিহ্নিত করে বিনামূল্যে স্থানীয় উপজেলা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাকা ঘর সহ জমি হস্তান্তরিত করা হয়। আর এই মহত কাজের প্রথম ধাপ’ই হলো উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ্যাসিল্যান্ড, সকল তহসীলদার, সার্বেয়ার, কানুনগো সহ আরো অনেকেই।
সরকারি পরিপত্র আর জেলা প্রশাসক এর নির্দশে প্রতিটি উপজেলায় সহকারী কমিশনার ভূমি এবং তার সহকারীগনও নিরলসভাবে নথিপত্র গুছিয়ে একজন সুবিধাভোগীর হাতে কগজ সহ একটি ঘর হস্তান্তর করলেও, গলাচিপা উপজেলায় তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এখানেই শেষ নয়, মাঝে মাঝে দেখা যায়, কর্ণহীন মানুষ যখন তার নির্দিষ্ট সময়ে পরিবারের টানে ঘরে ফিরে যান, তখন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমী অফিস গুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘরের বন্দোবস্ত নথি সৃজন, নামজরী করে জেলায় পাঠানো, সাটিফিকেট বানানো, জমি খুজে বের করাসহ যাবতীয় কাজে বিরামহীন ভাবে কাজ করছেন সহকারী কমিশানার (ভূমী) মোঃ নজরুল ইসলাম ও তার চৌকষ সহকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
এখানেই শেষ নয়, কোথাও কোন ঘরের নির্মানে অনিয়ম বা দূর্নীতির খবর পেলে, তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থানে ছুটে গিয়ে, তার সঠিক মান-নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন উপজেলা সহকারী কমিশানার ( ভূমী) মোঃ নজরুল ইসলাম এবং তার সহকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দরা।
যদিও প্রাকৃতিক দূর্যোগ আর দু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছারা কোন অনিয়ম বা দূর্নীতির প্রমাণ স্বরুপ কিছুই পাওয়া যায়নি। যদিও দেশের বিভিন্ন উপজেলায় কিছু অনিয়মের খবর পত্র- পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও, গলাচিপা উপজেলা ভূৃমী অফিস প্রধাণমন্ত্রীর ঘর নির্মাণে কঠোর নজরদারীতে প্রথম পর্যায়ে ৩৯২ টি ঘর ইতি মধ্যেই সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করছেন। এছাড়া তাদের তদারকির মাধ্যম আরো ৫’শত পরিবারকে ঘর হস্তান্তরের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অফিস সূত্রে জানা যায়, কোন বৈরী প্রভাব না পরলে, আগামী ২ থেকে তিন মাসের মধ্যেই চলামা কাজের সমাপ্তি করতে পারবেন বলে উপজেলা ভূমী অফিস সূত্রে জানা যায়।
শুরু হওয়ার সাথে সাথেই কিছু অসাধু ঠিকাদার এবং কর্মকর্তাকাজদের যোগসাজশে দেশ সহ প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ক্ষূন্য করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্মান কাজ শেষ হওয়ায় আগেই ধ্বসে পড়ছে আবার কোথাও নির্মান কাজ চলাকালীন ভেঙ্গে পড়েছে ঘরগুলো। কেউ আবার টাকার বিনিময় ঘর দেওয়ারো অভিযোগও পাওয়া যায়।
বর্তমান চলমান মুজিব শতবর্ষের শেখ হাসিনার উপহার ঘরের কাজগুলো সঠিকভাবে স্থানীয় মানুষের অধিকার রক্ষায় গলাচিপা উপজেলা ভূমি অফিস আরো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় তার স্বনাম ধরে রাখবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।