দীর্ঘ ১৯ বছর পর নরসিংদীতে এসেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা ১২টার কিছু আগে তিনি নরসিংদী পৌঁছান।
এরপর বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী সার কারখানা স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টার দিকে মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। এ উপলক্ষ্যে রোববার সকাল থেকেই মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। জেলার ৬ উপজেলার লাখো নেতাকর্মী এসে জড়ো হয়েছে সভাস্থলে।
দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে নরসিংদীবাসী। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সুন্দর এবং সুশৃংঙ্খল করতে ইতোমধ্যে মঞ্চ, তোরণ নির্মাণসহ সার্বিক কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর নেত্রীকে সরাসরি দেখার আনন্দে ভাসছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ নরসিংদীবাসী।
উল্লেখ্য, নরসিংদীর পলাশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক উৎপাদন। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এই কারখানায় বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। দিনে উৎপাদন হবে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কারখানার নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হলে প্রকল্পের অবকাঠামোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরে একই বছরের ১৬ আগস্ট পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় চীনের সিসি সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এরপর ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১১০ একর জমির ওপর নির্মিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা আর জাপান ও চীনের ঠিকাদারদের যৌথ কনসোর্টিয়াম ব্যাংক অব টোকিও-মিৎসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড ও দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকার ঋণ দেয়।
বিএসডি / এলএম