আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তোরঘর জেলার পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নওয়াজ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, শনিবার থেকেই পার্বত্য অঞ্চল খাইবার পাখতুনওয়ার বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রোববার ভোরের দিকে জেলার প্রত্যন্ত কয়েকটি গ্রামে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল দেখা দেয়।
মোহাম্মদ নওয়াজ আরও জানিয়েছেন, উদ্ধার মৃতদেহসমূহের মধ্যে একাধিক নারী ও শিশু আছে।
মোহাম্মদ নওয়াজ জানান, উপদ্রুত গ্রামগুলোর বেশিরভাগ ঘরই রোদে পোড়া ইট ও মাটির তৈরি। প্রবল বর্ষণ ও ঢলে এই বাড়ি গুলোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক এবং অনেক বাড়ি ভেঙে গেছে।
রাজধানী ইসলামাবাদের নিকটবর্তী শহর অ্যাবোটাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তোরঘর জেলা ও কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ইতোমধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ত্রাণ সামগ্রীও পাঠানো হয়েছে, কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেই পার্বত্য এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে।
পাকিস্তানে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়; এবং বর্ষা মৌসুমে দেশটির পার্বত্য এলাকাগুলোতে এ ধরণের দুর্যোগ নিয়মিতই হয়ে থাকে।