বিনোদন প্রতিবেদন
বাংলার মুখ, মফস্বলের জনপ্রিয় একটি পত্রিকা। বিপুল ও সুরঞ্জনা নামের দুজন সাহিত্য পাতায় কাজ করেন। অফিসে দেখা হলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কথা বলতে পারত না। নিয়ম করে তাই প্রতি রাতে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো। মাঝে মধ্যে দেখা করত। বিপুল তার ভালোলাগা ভালোবাসার কথা জানালে সুরঞ্জনা অবাক হয়ে বলে- ‘আমি শুধু আপনাকে বন্ধু ভেবেছি, আর কিছু নয়। আমি আসলে যার জন্য অপেক্ষা করছি, সে ঠিক আপনি নন।’
এ কথা শোনার পর বিপুল কষ্ট পেতে থাকে। তবুও শেষবারের মতো বিপুল সুরঞ্জনার মুখোমুখি হয়। সেদিন কবিতার ছলে আবারো বিপুল তার ভালোবাসা প্রকাশ করলে সুরঞ্জনা বলে- ‘আমি চিরতরে হারিয়ে যাব। আমি শুধু তোমার কল্পনা মাত্র।’
ম্যাসেঞ্জারে ঢুকে দেখে সুরঞ্জনা বিপুলকে ব্লক করে দিয়েছে। কারণ সেটি একটি ফেইক আইডি ছিল। বিপুলের কল্পনা শেষ হলে দেখা যায় বিপুল কবি জীবনানন্দ দাশের সুরঞ্জনা কবিতার বই পড়তে গিয়ে সুরঞ্জনা চরিত্রের প্রেমে পড়ে যায় এবং সেই কল্পনায় যে সুরঞ্জনাকে দেখতে পেত, হঠাৎ তার সামনে ঠিক সেই চেহারার অন্য আরেকজন; কিন্তু সে তো সুরঞ্জনা নয়। সে পাশের বাড়ির কোনো এক বৌদি। বিপুল কান্না করে মাকে ডাকলে মা এসে ছেলের অসহায়ত্ব দেখে কান্না করেন। তখন দেখা যায়, বিপুল হুইলচেয়ারে বসা অসুস্থ এক যুবক। তার কল্পনার সুরঞ্জনা শেষে এসে এভাবে শেষ সংলাপ দিয়ে তাকে কাঁদিয়ে চলে যাবে তা সে স্বপ্নেও ভাবেনি। এভাবেই নানা ঘটনায় এগিয়ে যায় ‘সুরঞ্জনার শেষ সংলাপ’ নাটকটির কাহিনী।
আহমেদ তাওকীরের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সীমান্ত সজল। এতে বিপুল চরিত্রে মনোজ এবং সুরঞ্জনা চরিত্রে প্রভা অভিনয় করেন। নাটকটি ৪ সেপ্টেম্বর রাতে আরটিভিতে প্রচার হয়। এরপর থেকেই প্রশংসা চলছে নাটকটির।
এ প্রসঙ্গে নাটকের পরিচালক সীমান্ত সজল বলেন, আমি সব সময়ই গল্পকে প্রাধান্য দিয়ে নাটক নির্মাণ করি। এটিও তেমনই একটি নাটক। নাটকটিতে মনোজ ও প্রভা দুজনই দারুণ অভিনয় করেছেন। আমিও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেই নাটকটি নির্মাণ করেছিলাম। দর্শকের কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি।