মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্বরন: বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সকল জনগনের একটাই ভয়ের কারণ, প্রজাতন্ত্রের কিছু দুর্নীতিপরায়ণ প্রশাসন। এই দুর্নীতিপরায়ণ প্রশাসনের কাছে জনগণ সর্বসময় নিরুপায়। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের প্রাধান্য ও সংবিধানের ৭। (১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ্য যে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে। আবার সংবিধানের ৭। (১) অনুচ্ছেদের (খ) উপ-ধারায়,উল্লেখিত যে, এই সংবিধান বা ইহার কোনো বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা,বিশ^াস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে- তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যাক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে। যদি তাই হয়,তবে প্রতিদিন, পত্র-পত্রিকা,টেলিভিশন,সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ও গণমাধ্যমে কল্যাণে দেখা-শুনা যায় যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে অথবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছে।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, সর্বশেষ গত (অক্টোবর-২০২০) সিলেট জেলা অন্তগত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ (বরখাস্ত) এস আই আকবর হোসেন ভূইয়ার নির্যাতনে মো. রায়হান উদ্দিন মারা যান। এর পূর্বে বেশ আলোচিত ঘটনা, ৩১ শে জুলাই-২০২০, কক্রাবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। বিবিসি বাংলার সূত্রে জানতে পারলাম, গত ৩১ শে জুলাই রাতে কক্রাবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। সেই ঘটনায় মেজর (অব.) সিনহার বোনের করা মামলায় আদালতে-১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার হওয়া লিয়াকত আলী। এখন প্রশ্ন হলো যে, আইনকে আমরা মনে-প্রাণে শ্রদ্ধাকরি, যে আইনের হাত সবার হাতের চেয়ে লম্বা,সেই আইন যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে পরাহত (খর্ব) হয়, তাহলে কী বেড়া ক্ষেত খেয়ে ফেলার মত না? যে, আইনকে রক্ষা করার জন্য পুলিশ-প্রশাসন নিয়োজিত,সেই আইন রক্ষার নামে বক্ষন করলে সংবিধানের ৭। (১) অনুচ্ছেদের (খ) উপ-ধারায়,উল্লেখিত বিষয়ে ঐ কর্মকর্তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে না? অবশ্যই হবে। সাধারণ জনগণ সংবিধান সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। সংবিধানিক জ্ঞান অর্জন করতে হইবে। নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য সম্পর্কে সংবিধানের, ২১। (১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ্য যে, সংবিধান ও আইন মান্য করা,শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিকদায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয় সম্পতি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। এবং (২) সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।
আমরা অনেকেই হয়তো আমাদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে অবগত না। আমাদের সংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে আমরা অজ্ঞ। আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা যে, জনগণের মৌলিক প্রয়োজনে সংবিধানের, দ্বিতীয় ভাগের, ১৫। অনুচ্ছেদে উল্লেখিত যে,রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়ীত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির কর্মবৃদ্ধি সাধন এবং জনগণের জীবন যাত্রার বস্তুগত ও সংস্কুতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন,যাহাতে
নাগরিকদের জন্য নিম্নলিখিত বিষয় সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায়: (ক) অন্ন,বস্ত্র,আশ্রয়,শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ জীবন-ধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা; (খ) কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তি-সঙ্গত মজুরীর বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার; (গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম,বিনোদন ও অবকাশের অধিকার; এবং (ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার,অর্থাৎ বেকারত্ব,ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য,মাতা-পিতাহীনতা বা বার্ধক্যজনিত, কিংবা অনুরুপ অন্যান্য পরিস্থিতি জনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্যলাভের অধিকার।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সম্পর্কে সংবিধানের ১১। অনুচ্ছেদে উল্লেখিত রয়েছে যে, প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে,মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে। এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে। কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি সম্পর্কে সংবিধানের ১৪। অনুচ্ছেদে উল্লেখিত যে, রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে মেহনতি মানুষকে-কৃষক ও শ্রমিককে-এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল শোষণ হইতে মুক্তি দান করা।
অন্যান্য রাষ্ট্রের মত আমাদের বাংলাদেশেও পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন আইন আছে। কিন্তু ইহার প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ ও আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই বললেই চলে। আমার খুব ভালো বন্ধু মো.শরিফুল ইসলাম (শরিফ)। ময়মনসিংহের উচুঁ পাহাড়ের পাশে অজুপাড়া গায়ে শৈশব তার। পাহাড়ি গাছ ও সবুজ লতা-পাতার শহরে জন্ম, সবুজের অরণ্য তার নারীর প্রতিটি শিরা-উপ-শিরাকে চিনে,জানে। সেও প্রাকৃতিমনা মানুষ, এলাকার সবাই পাহাড়ি গাছ-পালা কেটে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করছে। আর শরিফ এর বিরোদ্ধে অক্লান্ত প্রতিবাদ-প্রতিরোদ গড়ে তুলছে। শরিফের একটি সামাজিক সংগঠন আছে। প্রাকৃতি ও মানুষ। শরিফ আমাকে একদিন বললো,স্বরন ভাই, মানুষগুলো নির্মম ভাবে গাছ-পালা কেটে বন-জঙ্গল,বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার করে ফেলছে। বিশ্বাস করেন, আমি রাতে বালিশে মাথা রাখলে, গাছ-পালার করুণ আর্তনাত শুনতে পাই। আপনি তো লেখক,আপনি কলম যোদ্ধা, আমি যতটুকু জানি, কলম যোদ্ধাদের ভয়ে বিষধর সর্প মুখ লুকায়, কলম যোদ্ধাদের কর্মে বিশ^জাতি মুক্তিপায়। আপনার কলমের ডগার মাধ্যমে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি-আকর্ষণ চাই। আমি বন্ধু শরিফকে বললাম,পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন সম্পর্কে সংবিধানের, ১৮। অনুচ্ছেদে উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ,জীব-বৈচিত্র্য,জলাভূমি,বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।
সংবিধানের প্রস্তাবনায়, আমাদের অঙ্গিকার ছিলো যে,আমরা অঙ্গিকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্টা-যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে;
বাঙ্গালী জাতিগত ভাবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা সম্পর্কে সংবিধানের, ২৭। অনুচ্ছেদে উল্লেখ্য যে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার কী? আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার সম্পর্কে সংবিধানের ৩১। অনুচ্ছেদে উল্লেখ্য যে, আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহারলাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষতঃ আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোন ব্যক্তির জীবন,স্বাধীনতা,দেহ,সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ সম্পর্কে সংবিধানের, ৩২। অনুচ্ছেদে উল্লেখ্য যে, আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা হইতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না।
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধু জিয়া। তার সাথে আমার আত্মার সাথে আত্মিক সম্পর্ক। জিয়ার আচার-আচারণ,খুবই ভালো। সে আমার মত কোনো ধুমপান করে না,তার স¦ভাব অনেকটাই আমার মত, খুব শান্তি-প্রিয় মানুষ। তবে জগন্য প্রতিবাদী ও সত্যবাদী। জিয়া ২০১৮ সালের ৫ই মে মাস হবে সম্ভবত, মিরপুর-১৪,কচুক্ষেত এলাকার মুসলিম মডার্ণ স্কুলের সুরু এক রাস্তা দিয়ে রিক্রাাযোগে সাগরিকার,নেভী কলনীর দিকে যাচ্ছিলো, হঠাৎ করে দেখতে পেল মানুষের ভীরে রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। সে রিক্রা থেকে নেমে কোনো একজনকে উদ্দেশ্য করে বললো, এখানে কি হয়েছে? অপর একব্যক্তি বললো তুই কে? তুই ওর লোক?জিয়া বললো না,আমি পথচারি। তাহলে তুই প্রশ্ন করলি কেন? এমন এক কথায়-দুই কথার কাটাকাটিতেই জিয়াকে দশ-বার জন ব্যক্তি মারতে লাগলো। জিয়া থানায় কল করে পুলিশ ডাকলে,পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়ার কোনো কথা না শুনেই,এসআই মানিক সহ গণকর্মকর্তাদের দ্বারা জিয়া সারারাত শারিরীক নির্যাতনে শিকার হয়। এর পরদিন মারামারি মামলায় জিয়াকে কোর্টে প্রেরণ করে। কোর্টে প্রেরণ করার একদিন পড় জিয়া জামিনে আসলো। জামিনে এসে জানতে পারলো ঐ দিনের ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিলো। এক মেয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করায়, এলাকার সকল মাদক ব্যবসায়ীরা মিলে রাস্তায় মেয়েটিকে একা পেয়ে বেদর পিটাইতে ছিলো। জিয়া এর কারণ জানতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা মনে করে, জিয়া ঐ প্রতিবাদি মেয়ের আত্মীয়-স্বজন। এই থানার কিছু উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে এর পূর্বেও মেয়েটির নামে দুই-তিনটি মিথ্যা মাদক মামলা দিয়েছে। ঐ মেয়ে জেলহাজতে অবস্থানরত অবস্থায় পুলিশ তাকে আরো একটি মিথ্যা মাদক মামলা দেয়। মিথ্যা মাদক মামলা ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধে মেয়েটি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)তে একাদিক সংবাদ সম্মেলন করেছে। জিয়া এসব কিছু জানার পর উক্ত থানার অফিসার ইনর্চাজ ও ওসি তদন্তের বিরোদ্ধে পুলিশ মহা-পরিদর্শক (আইজিপির) কাছে অভিযোগ করে। এরই প্রেরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটি দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সমকাল সহ দেশের বেশকয়টি জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদপত্রে দৃষ্টিগোছর হয়ে জাতীয় মানাধিকার সংস্থা সপ্তম কর্মদিবসে তথ্য উদগঠনের জন্য তিন (০৩) সদস্যের একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে। আর এর অপর দিকে জিয়ার বিরোদ্ধে মিথ্যা মারামারি মামলা ছাড়া অন্য কোনো মামলা না থাকলেও পুলিশ মহা-পরিদর্শক (আইজিপির) কাছে অভিযোগটির তদন্ত ও জাতীয় মানাধিকার সংস্থা তদন্তে বিঘ্নঘটাতে পুলিশ বলে বেড়াচ্ছে জিয়া মাদক ব্যবসায়ী। এরপর বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন সংস্থা থেকে (ক) থানার ওসি ও ওসি তদন্তকে তলব করলে,তারা তাদের পূর্ব পরিচিত র্যাব কর্মকর্তার দ্বারা জিয়াকে অপহরণ করে। অপহরণের সময় জিয়া তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে র্যাব-(ক) এর সাথে অভিযানে আছি লিখে পোস্ট করে। র্যাব কর্মকর্তারা রাত প্রায় ১.টার দিকে জিয়াকে মিরপুর কালশী বেড়ীবাধেঁ নিয়ে গেলে ফেসবুক স্ট্যাটাসের কল্যাণে জিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে র্যাব কর্মকর্তাদের ফোনে কল করে, জিয়া কোথায় আছে পরিবারের সদস্যরা জানতে চায়? বিষয়টি জানা জানি হয়ে যাওয়ায় র্যাব কর্মকর্তারা জিয়াকে নিয়ে র্যাব ক্যাম্পে চলে আসে। এরপর জিয়াকে মাদক মামলায় (ক) থানায় প্রেরণ করে। (ক) থানার ওসি তদন্ত জিয়াকে দেখে প্রশ্ন করে তুই এখনো বেচেঁ আছিস? তোর তো অনেক আগে মরে যাওয়ার কথা? তারপর শুরু হয় জিয়ার শরিরীরে নির্যাতন। জিয়া একপ্রকার জ্ঞান হারালে তাকে পুলিশের গাড়ি দিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবারো (ক) থানায় নিয়ে শুরু করে শারিরীক নির্যাতন। প্রশ্ন করে কোন হাত দিয়ে লিখে অভিযোগ করেছিস?
এভাবেই প্রশাসনে দুর্নীতিপরাণে আইনের প্রতি দেশের জনগণ আস্থা হারাচ্ছে। উদাহরণস্বরুপ বলা যায় যে,২০১৪ সালে ২৭শে এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লা লামাপাড়ায় র্যাব সদস্য দারা অপহরণকৃত সাত খুনের ঘটনা আমরা অনেকেই হয়তো জানি। কারণ এ ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত ছিলো। ২০১৪ সালে ২৭শে এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লা লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত জনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার চার সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহীম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা হলেন: সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১,সাবেক অধিনায়ক লে.কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন,লে.কমান্ডার(অব.) মাসুদ রানা, র্যাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা,এএসআই আবুল কালাম আজাদ,হাবিলদার এমদাদুল হক, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, কনস্টেবল বাবুল হাসান,আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া,বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন,সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী নুরুজ্জামান,সিপাহী আসাদুজ্জামান নূরসহ আরও বেশ কয়জন র্যাব সদস্য জরিত ছিলো।
বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ রাষ্ট্রপরিচালনার সহযোগী হয়ে অসাধারণ দক্ষতার সহিত জনগণের সেবা করে যাচ্ছে। তবে কিছু অসাধু,বিবেগহীন,অর্থলোভী প্রশাসনের কুকর্মের প্রতি ফলে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আস্থা,শ্রদ্ধাবোধ নিত্যদিনেই লোপ পাচ্ছে। এ সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উত্তরণ না হলে জনগণের মৌলিক অধিকার অতল সাগরে তলিয়ে যাবে। এ ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড জনজীবনের জন্য হুমকীস্বরুপ। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণের সকল স্তরের মানুষগণ বাংলাদেশের সংবিধান সংরক্ষণ, সংবিধান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা বাধ্যতামূলক বলে আমি বিবেচিত। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শুধুই জ্ঞান অর্জন করলে হবে না,প্রয়োজনে সততা,নিষ্টার সহিত কর্মদক্ষতা প্রমাণ করে নিজ নিজ ডির্পাটমেন্টকে গর্বতি করে বিশে^র দরবারে বাংলাদেশ কে নিয়ে মাথা উচুঁ করে দাড়াঁতে হবে। আর দেশের প্রতিটি জনগণন সংবিধান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে দেশের শান্তি রক্ষার জন্য দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের দুর্নীতির বিরোদ্ধে রুখে দাড়াঁতে হবে।
লেখক ও কলামিষ্ট, অনলাইন নিউজ র্পোটাল, আমাদের সমাজ।