নিজস্ব প্রতিবেদক
শতভাগ প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। প্রতিষ্ঠানটির ২০২৩ সালের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা— শীর্ষক প্রতিপাদ্যের ওপর রচিত প্রতিবেদনটিতে আটটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর নির্মিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। আটটি মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে রয়েছে— সাসটেইনেবল পণ্য, সাসটেইনেবল প্যাকেজিং, কৃষি, পানি ও এনার্জি।
সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১০০ শতাংশ বিনিয়োগ করা, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা, কৃষি-পণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের ৯০ শতাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা, সব কারখানায় পানির ব্যবহার ৩০ শতাংশ হ্রাস করা, জ্বালানির ব্যবহার ২০ শতাংশ হ্রাস এবং কারখানায় ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ২৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করা।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রথম প্রতিবেদনটি সাসটেইনেবিলিটির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এই প্রতিবেদনটি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই যাত্রায় একটি যুগান্তকারী মুহূর্তকে নির্দেশ করে। পুরো প্রতিবেদনজুড়ে ‘সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের প্রতিফলন ঘটেছে, যেখানে ব্যাপকভাবে জীবিকা বৃদ্ধির জন্য এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বিশ্বে অবদান রাখার জন্য আমরা যে পথগুলো নির্ধারণ করেছি সেগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সাসটেইনেবিলিটির আখ্যানটি আমাদের পুরো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত, যেটি পণ্য উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য আমাদের গৃহীত কর্মকাণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতিবেদনটি রুপান্তর, উদ্ভাবন এবং আশার গল্প। এটি আমাদের পরিবেশগত পদচিহ্ন হ্রাস করার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নকে উৎসাহিত এবং নৈতিক ও দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমাদের প্রচেষ্টার একটি দলিল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। এ ছাড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।