নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে লাথি মারাসহ দুই দফায় মারপিট ও বরখাস্তের ঘটনার বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ। এ সময় টাইমস্কেলসহ প্রাথমিক শিক্ষকদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেছে পরিষদ।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. মনোজ কান্তিসহ সারাদেশে সকল শিক্ষক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রদান করতে হবে। মনোজ কান্তি বিশ্বাসের সাময়িক বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহারসহ তার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত শিক্ষা কর্মকর্তাদের দ্রুত শাস্তির পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রচলিত ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) প্রথা বাতিল করতে হবে।
২. বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের ৯ মার্চ ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদান করতে হবে। চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে সকল শিক্ষকের উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রদান করতে হবে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সাথে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের বেতন সমতা করে বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে।
৩. প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রধান শিক্ষকের ২য় শ্রেণির মর্যাদা বাস্তবায়ন ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে হবে। একই সাথে ডিপিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের চলমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৪. প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতিতে বয়স ৪৫ বছর ও পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভাগীয় পদোন্নতি দিতে হবে। চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির স্থায়ী আদেশ জারিসহ চলতি দায়িত্বে বহাল রাখতে হবে।
৫. শিক্ষকদের টিফিন ভাতা ন্যূনতম তিন হাজার টাকা নির্ধারণসহ ভুল কন্টিজেন্সি প্রতি ৬ মাসে কমপক্ষে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৬. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ সামলাতে শিক্ষকদেরকে মূল বেতনের ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে।
৭. দফতরি কাম প্রহরীদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও একজন করে আয়া পদ সৃষ্টি করতে হবে।
বিএসডি / আইকে