নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস এবং মার্কিন ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবী বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটসের সঙ্গে কপ২৬ এর সাইডলাইনে জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়ন ইস্যুতে আলোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দিনের কর্মব্যস্ততার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দুই বৈশ্বিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ, উদ্যোগ ও চাহিদা তুলে ধরেন।
মোমেন বলেন, তারা চায় জলবায়ু সমস্যায় বেসরকারি খাত জড়িত থাকুক। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলীয় বায়ু শক্তি এবং উপকূলীয় বেল্ট এবং নদীর তীরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ সম্বলিত কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পরিবেশের স্বার্থে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোনিবেশ করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
চার্লসের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল বলেছে, যে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চায় বলে তারা বাংলাদেশ সফরের প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা করবে।
মোমেন বলেন, ব্রিটিশ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মন্তব্য করেছেন যে, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার দিক থেকে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করছে।
মোমেনের মতে, বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটস বলেছেন যে, তারা বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন এবং কৃষি উন্নয়নে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং এ লক্ষ্যে আরও কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
শেখ হাসিনা তাদের বলেন, ডিজিটালাইজড বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ সময়ে সেলফোন ও টেলিফোনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির আওতায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে।
মোমেন বলেন, তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা চালানোর ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটস দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের কৃষি ও অন্যান্য খাতে কাজ করে আসছেন।
সূত্র : বাসস
বিএসডি/আইপি