নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহহ হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে ফতুল্লার মাসদাইর বাজারে ঘটনায় শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সেলিম কসাই ও তার ছোট ভাই রাসেল, শাওন, আল আমিন, রাকিব, রাজিব, সানি, সাগর, বাবু, জাহিদ, ফেরদৌস, ফয়সাল, আয়ুব আলীর ছেলে বাবু, শাকিল, মেহেদী হাসান দোলন, রানা, কৃসনা, হৃদয়, জুয়েল আরমান, রাজু, রুবেল, ইট্রু রিপন, শাহিন, ফরহাদ, নাসির কসাই, পারভেজ, পোড়া কাকন, শাহীন, ডিবজল, মামুন, পাভেল, ডিব্বা হালিম ও সঞ্জয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার দিনগত রাত সোয়া ১টায় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোনে জানানো হয়, ফতুল্লার মাসদাইর বাজার এলাকায় সন্ত্রাসী কাকন, সেলিম কসাই ও শাওন কসাই গ্রুপ থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করতে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেন। খবর পেয়ে পুলিশ মাসদাইর বাজারে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে। পরে রাত সোয়া ২টায় আবার কাকন, সেলিম কসাই ও শাওন কসাইয়ের পক্ষ লোকবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাতে ইটপাটকেলসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মাসদাইর বাজারে পথচারীদের যানবাহন ভাঙচুর করে। এ সময় এসআই শাহাদাত হোসেন ও তার সঙ্গীয় কনস্টেবল জুয়েল, সজিব ও তাদের বহন করা সিএনজির চালক রিয়াজ হোসেন ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হস এবং তাদের সিএনজির সামনের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পুলিশ চারটি গুলি ছুড়ে আত্মরক্ষা করেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।