নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ ফাঁকিবাজি করলে কিংবা কারো বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে গুলশানের নগর ভবনে স্প্রেম্যান সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র আতিক বলেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসগুলোতে এরই মধ্যে মশক নিধন কর্মীদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই মশক কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ডিএনসিসিতে আজ ৫৪জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্প্রেম্যান সুপারভাইজাররা তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যেকটি অঞ্চলের মশক কর্মীদেরকে হাতে-কলমে শেখাবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক (কীটতত্ত্ব) কবিরুল বাসার, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা।
বিএসডি/এমএম